Rail: দেশে দ্রুত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, পরিস্থিতি সামাল দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা রেলের
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব রেল বোর্ডের সব ডিরেক্টরদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের পর দেশের প্রত্যেকটি রেল জোনকে ওই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হুহু করে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭২৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের। পজিটিভিটি রেটও বেড়ে হয়েছে ১৩.২৯ শতাংশ। এরকম এক পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রের নির্দেশ হাসপাতাল, বেড, অক্সিজেন, আইসিইউ তৈরি রাখতে হবে হাসপাতালগুলিকে। এরকম এক অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করল রেল।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রকের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, কোভিড আক্রান্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে রেল হাসপাতাল। উল্লেখ্য, দেশের প্রত্যেকটি বড় শহরের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর মধ্যে অন্যতম এই রেল হাসপাতাল। শুধুমাত্র রেল কর্মচারীরাই ওই হাসপাতাল ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে এবার পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা।
এদিন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব রেল বোর্ডের সব ডিরেক্টরদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের পর দেশের প্রত্যেকটি রেল জোনকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে, যদি কোনও জোনে বা শহরে যদি দেখা যায় হাসপাতালের অভাবে ওই জোন বা শহরের করোনা রোগীদের চিকিত্সা ব্যবস্থা হচ্ছে তাহলে তাহলে সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে রেল হাসপাতাল।
রেলের ওই বৈঠকে আজ বৈষ্ণব রেল কর্মীদের টিকাকরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি করোনা রোগীদের চিকিত্সার জন্য অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, ওষুধ সহ অন্যান্য সরবারহ কী রকম রয়েছে তা খতিয়ে দেখেন। এছাড়া স্টেশনগুলিতে করোনা বিধি প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-Gangasagar Mela: কমিটিতে কেন Suvendu? হাইকোর্টে মামলা রাজ্যের, রায়দান স্থগিত
উল্লেখ্য, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্য়েই গোটা দেশে শুরু হয়েছে প্রিকশনারি ডোজ বা বুস্টার ডোজ। তৃতীয় এই টিকা পাচ্ছেন ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার ও ষাট বছরের বেশি বয়স্ক মানুষজন। এরাজ্যেও ৪০ লাখ মানুষকে দেওয়া হবে বুস্টার ডোজ। গোটা দেশে মহারাষ্ট্র, দিল্লির করোনা পরিস্থিতি খুবই খারাপ। কেন্দ্রের আশঙ্কা এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। বর্তমানে গোটা দেশেই এখন সরকারের কাছে যেটা চ্যালেঞ্জ তা হল চিকিত্সক, স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিত্সা পরিষেবার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের অভাব। এদের অনেকেই করোনা পজিটিভ হচ্ছেন। এই অবস্থা গোটা দেশজুড়েই। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরাল যে বহু জায়গায় স্বাস্থ্ কাটামোর উপরে চাপ তৈরি করছে চিকিত্সক ও চিকিত্সার সঙ্গে জড়িত কর্মীদের অভাব। সেকথা মাথায় রেখেই ডাক্তারি ও নার্সিং পড়ুয়াদের কাজে লাগাতে চায় কেন্দ্র। এমনই এক পদক্ষেপে নিতে চলেছে কেন্দ্র।