নিজস্ব প্রতিবেদন: আকাশপথে কেরলের বন্যা পরিস্থিতি দেখার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ব্যবস্থা নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার সকালে বিমানে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে রাজ্যের আট জেলা ঘুরে দেখেন রাজনাথ। তার পরেই বন্যাত্রাণে ১০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


কেরলের বন্যা পরিস্থিতি অত্যান্ত উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেন রাজনাথ। টুইটারে রাজনাথ লেখেন, অভাবনীয় এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মানুষের ‌যন্ত্রণার কথা অনুভব করতে পারছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কত তা খতিয়ে দেখতে কিছুটা সময় লাগবে। এরকম এক অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকার ত্রাণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করছি।


আরও পড়ুন-নিউটাউনে ‘সিলিকন ভ্যালি’, রাজ্যের ১০ হাজার কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি


এরনাকুলামে একটি ত্রাণ শিবিরে বন্যার্তদের সঙ্গে কথা বলেন রাজনাথ সিং। সেখানে তিনি বলেন, ‘পিনারাই বিজয়ন সরকার ইতিমধেই রাজ্যে ৮,৩১৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দিয়েছে। আপাতত ১২২০ কোটি টাকা সাহা‌য্য চাওয়া হয়েছে। আজ আকাশপথে রাজ্যের বন্যা দুর্গত অঞ্চল ঘুরে দেখে মনে হয়েছে গোটা পরিস্থিতি খুবই সংকটজনক। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারকে সব ধরনের সাহা‌য্য দেওয়া হবে।’



এদিকে, বন্যায় ‌যেসব মানুষের ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে তাদের জন্য আশার কথা শুনিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তিনি একটি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‌যেসব মানুষের পাসপোর্ট নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাদের নতুন পাসপোর্ট দেওয়া হবে। এরজন্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ‌যোগা‌যোগ করতে হবে।



আরও পড়ুন-  বাড়ি বয়ে জোট করতে গিয়েছেন মমতাই, তৃণমূলনেত্রীকে খোঁচা আধীরের


উল্লেখ্য, আগামী ৪ দিনও কেরলের ৮ জেলায় প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। ৮ জন নিখোঁজ। এত ব্যাপক বন্যা গত কয়েক দশক কেরলে হয়নি। ত্রাণশিবিরগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন ৩৫,৭৭৪ জন।


আশার কথা হল কেরলের ইডুক্কি ও ইডামালায়ার জলাধারের জলস্তর কমতে শুরু করেছে। এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে ‌যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষজনকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।


অন্যদিকে, রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। উদ্ধারকা‌র্যে নামানো হয়েছে সেনার ১০টি কলাম, বায়ুসেনা, নৌসেনা ও এনডিআরএফের টিমকে। এমন ভয়ঙ্কর বন্যা রাজ্যবাসী দেখেনি। মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের।


কোঝিকোড়, মাল্লপুরম, কান্নুর, ওয়ানদ জেলা প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্থ। রাস্তাঘাট ভেঙে ‌যাওয়ায় ওয়ানদ জেলায় ‌যোগ‌যোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাজ্যের পালাক্কাদ, মাল্লাপুরম, কান্নুর, এরনাকুলাম, ইডুক্কি, ওয়ানদ জেলার ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ইতিমধ্যেই রাজ্যে কমপক্ষে ১৫০০ বাড়ি ভেঙে পড়েছে।