প্রমিলা বাহিনী ১০ বছরের শিশুদের দিত 'বাবা'র যৌন চাহিদা পূরণ করার শিক্ষা!
ওয়েব ডেস্ক: জেলে যাওয়ার পর থেকেই ধর্ষক 'ধর্মগুরু' রাম রহিমের একের পর এক কুকীর্তি ফাঁস হচ্ছে। এবার প্রকাশ্যে এল আরও এক বিস্ফোরক খবর, যা দেখে চোখ কপালে উঠছে দুঁদে তদন্তকারীদেরও। ইন্ডিয়া টুডে-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কেবল স্বাধীরাই নয়, ১০ বছরের নাবালক-নাবালিকারও ছিল তার যৌন লালসার শিকার। এখানেই শেষ নয়, রাম রহিম কয়েকজন মহিলা নিয়ে একটি দল গঠন করেছিল। এই দলের কর্মীরাই নাবালিকাদের প্রশিক্ষণ দিত, কীভাবে ধর্ষক বাবাকে যৌন চাহিদা পূরণ করতে হবে। যে সবচেয়ে বেশি 'বাবা'কে তৃপ্ত করতে পারবে, সে-ই নাকি হত সবচেয়ে বেশি পুণ্যের অধিকারী।
ডেরার এক প্রাক্তন সদস্য জানিয়েছেন, ওই মহিলাদের 'বিষকন্যা' বলা হত। তারা ধর্ষক বাবার গুহার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকত সর্বক্ষণ। শুধু রাম রহিমই নয়, বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাও ডেরায় যেতেন বিনোদনের জন্য।
নাবালিকারা তো বটেই, ডেরায় থাকত এক ১০ বছরের নাবালকও। সন্তানের পুণ্যলাভের আশায় নাবালকের বাবা-মা-ই তাকে ডেরায় রেখে গিয়েছিল। এক হিন্দি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রাম রহিমের ঘৃণ্য কাজের শিকার হয়েছে সে-ও। এক নয়, একাধিকবার। শুধু রাম রহিমই নয়, ১০ বছরের ওই শিশুর সঙ্গে অশ্লীল কাজ করত তার বেশ কয়েকজন অনুগামীরাও। অস্বাভাবিক যৌন ক্রিয়ায় বাধ্য করা হত ওই শিশুটিকে। রাজি না হলে, চলত অকথ্য অত্যাচার। ডেরারই এক প্রাক্তন সদস্যের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিস ওই নাবালককে উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত ২ সেবককেও গ্রেফতার করেছে পুলিস। ডেরার প্রাক্তন সদস্য এও জানিয়েছেন, রাম রহিম অনেক সময় ডেরায় আগত ভক্তদের সঙ্গেও এই কাজ করেছে। ডেরায় নিযুক্ত ওই মহিলা দালালদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।