জনতার বিচার,জেল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণকারীকে পিটিয়ে মারল প্রতিবাদীরা
জেল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণকারীকে পিটিয়ে মারল উত্তেজিত জনতা। গতকাল চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে। ধর্ষণের প্রতিবাদে সকালে বিরাট সমাবেশ হয় ডিমাপুরে। এরপরই কয়েক হাজার ছাত্র ও সাধারণ মানুষ জোর করে ঢুকে পড়ে ডিমাপুর সেন্ট্রাল জেলে। অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে বেধড়ক মারধর। পরে পথেই মৃত্যু হয় অভিযুক্তের। ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নাগাল্যান্ড মন্ত্রিসভা।
ওয়েব ডেস্ক: জেল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণকারীকে পিটিয়ে মারল উত্তেজিত জনতা। গতকাল চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে। ধর্ষণের প্রতিবাদে সকালে বিরাট সমাবেশ হয় ডিমাপুরে। এরপরই কয়েক হাজার ছাত্র ও সাধারণ মানুষ জোর করে ঢুকে পড়ে ডিমাপুর সেন্ট্রাল জেলে। অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে বেধড়ক মারধর। পরে পথেই মৃত্যু হয় অভিযুক্তের। ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নাগাল্যান্ড মন্ত্রিসভা।
চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি নাগাল্যান্ডের এক মহিলাকে বারবার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বছর ৩৫ বছরের ওই যুবকের বিরুদ্ধে।
ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। এরপর থেকেই অভিযুক্তের ঠাঁই হয় ডিমাপুর সেন্ট্রাল জেলে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনার প্রতিবাদে বিরাট সমাবেশ হয় ডিমাপুরে। সমাবেশের পর হঠাতই ডিমাপুর সেন্ট্রাল জেলে জোর করে ঢুকে পড়ে সমাবেশে অংশ নেওয়া কয়েক হাজার ছাত্র ও সাধারণ মানুষ। সেখান থেকে অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নিয়ে বিবস্ত্র করে চলে বেধড়ক মারধর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূণ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় পুলিস। ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাসও। যদিও তাতেও পরিস্থিতি আয়ত্তে আসেনি। শহরের প্রাণকেন্দ্র ক্লক টাওয়ারে জনসমক্ষে অভিযুক্তকে ফাঁসিতে ঝোলানোর পরিকল্পনা ছিল বিক্ষুব্ধ জনতার। একটি গাড়িতে বেঁধে মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হয় অভিযুক্তকে। যদিও গন্তব্যে পৌছনোর আগেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধে ৭ টা নাগাদ জরুরি বৈঠকে বসেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। জনতার নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। একইসঙ্গে গোটা ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অনুপস্থিতিতে সামাজিক নিরাপত্তা ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। জোর করে জেলে ঢুকে অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়া সময় জেলে বন্দি বেশ কয়েকজন কয়েদি পালিয়ে গেছে এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস।