বয়স মাত্র ১২। হঠাৎই মোটা হতে শুরু করেছিল সে। প্রথমটা বুঝে উঠতে পারেনি ছোট্ট মেয়েটি। বুঝতে পারেননি তার বাবা-মাও। ডাক্তারের কাছে নিয়ে ‌যেতেই তিনি আলট্রাসোনোগ্রাফি করতে বলেন। তখনই বেরিয়ে পরে সত্য ঘটনা।  মেয়ে গর্ভবতী জেনে আঁতকে ওঠে তার বাবা-মা।  জানা ‌যায় ২৭ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা তাঁদের মেয়ে। অগত্যা, মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে গর্ভপাতের আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ নাবালিকার বাবা-মা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এরপরই মুম্বইয়ের ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় শুক্রবার ২৪ বছরের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি নাবালিকার বাবার সঙ্গে ব্যবসায়িক কাজকর্মে ‌যুক্ত।  প্রায়ই সে তাঁদের বাড়িতে আসত।  মেয়েকে জিজ্ঞাসা করে তার মা জানতে পারে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি।  তবে বিষয়টি গত বুধবার মেয়েকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে ‌যাওয়ার পরই তাঁরা জানতে পারেন বলে জানিয়েছেন ওই নাবালিকার মা।


আরও পড়ুন  হাতি দিবসের আগে 'খুনি হাতি'কে মারতে শ্রেষ্ঠ শিকারিকে আনছে সরকার



তবে আপাতত শীর্ষ আদালত ওই নাবালিকাকেকে গর্ভপাতের অনুমতি দেয় কিনা, তার  জন্যই অপেক্ষা করছে বছর ১২র ওই মেয়েটির পরিবার। কারণ, তার গর্ভাবস্থা ইতিমধ্যেই ২৭ সপ্তাহ পার করেছে।  ভারতে কুড়ি সপ্তাহের পর গর্ভপাত করানো আইনত নিষিদ্ধ। তবে অন্তঃসত্ত্বার যদি প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা থাকে, সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতিক্রমে গর্ভপাত করানো যায়।  গত মে মাসেই প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা থাকায় হরিয়ানার এক ধর্ষিতা নাবালিকাকে গর্ভধারণের ২১ সপ্তাহ পরও গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আবার, চণ্ডিগড়ের  ১০ বছরের এক নাবালিকার গর্ভপাতের আবেদন খারিজ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সেক্ষেত্রে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলে সে ৮ মাসের অন্তঃসত্বা তাই গর্ভপাত ঘটালে তার প্রাণ সংশয় হতে পারে।