নিজস্ব প্রতিবেদন: যৌনতা মৌলিক অধিকার এবং এই সংক্রান্ত গোপনীয়তা ভঙ্গের অধিকার কারও নেই। 'সেক্স ভিডিও' কাণ্ডে এই ভাষাতেই 'বন্ধু' হার্দিক প্যাটেলের পাশে দাঁড়ালেন জিগনেশ মেভানি।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার রাতে বেশ কয়েকটি গুজরাটি টিভি চ্যানেলে একটি 'সেক্স সিডি' সম্প্রচারিত হয়। দাবি করা হয়, ভিডিওতে যে পুরুষকে দেখা যাচ্ছে তিনি আসলে পতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল। কিন্তু ওই ভিডিওর সত্যতা এখনও প্রমাণিত হয়নি। অনেকেই বলছেন, ভিডিওতে যে পুরুষকে দেখা যাচ্ছে তাকে অনেকটা হার্দিকের মতো দেখতে, কিন্তু সে আসলে হার্দিক নয়।   


বিতর্কিত ওই ভিডিওটি একটি হোটেলের ঘরে রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে তথাকথিত ওই 'সেক্স ভিডিও'টি অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার পরই সামনে আসে আরেকটি ভিডিও। দ্বিতীয় ভিডিও-তে আবার মত্ত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে হার্দিক প্যাটেলকে। পালটা তোপ দেগে হার্দিক বলেছেন, নোংরা রাজনীতি করছে বিজেপি।



প্রসঙ্গত, আগামী মাসেই গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সেই ভোটে বিজেপিকে কুর্সি থেকে সরানোর দাবি তুলেছেন পতিদার সম্প্রদায়ের তরুণ নেতা হার্দিক প্যাটেল। ইতিমধ্যেই সেই ডাকে সাড়া দিয়েছেন অনগ্রসর নেতা জিগনেশ মেভানি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ভোটের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাবেন হার্দিক প্যাটেল। ফলে হার্দিকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই এমন সব 'মিথ্যা ভিডিও' প্রচার করছে গেরুয়া ব্রিগেড, এমনটাই মত হার্দিক শিবিরের।


উল্লেখ্য, সপ্তাহ খানেক আগেই হার্দিক রীতিমতো 'ভবিষ্যতবাণী' করে বলেছিলেন যে, খুব শীঘ্রই তাঁর সেক্স ভিডিও প্রকাশ্যে আসবে। এর আগে ২০১৫ সালেও তাঁর সেক্স ভিডিও বলে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছিল। একইভাবে সেই ভিডিওর সত্যাও যাচাই হয়নি। অন্যদিকে গুজরাটের বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যের বক্তব্য, "এই ভিডিওর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্কই নেই। আমরা এই ধরনের নোংরামিকে কখনও প্রশ্রয় দিই না। কিন্তু হার্দিক যদি বলেন এই ভিডিও নকল, তাহলে তিনি পুলিসের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছেন না কেন?"


আরও পড়ুন- হার্দিকের সেক্স ভিডিও ফাঁস! গুজরাট ভোটে তুরুপের তাস বিজেপি-র


'সেক্স ভিডিও' নিয়ে তোলপাড় চললেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের চোখে এসবই ভোটমুখী গুজরাটের নির্বাচনী উত্তাপের বহিঃপ্রকাশ। কারণ, এবারের ভোটে গুজরাটের গড় রক্ষার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে মোদী-শাহর বিজেপি। অন্যদিকে, এই গুজরাটেই বিজেপিকে পর্যুদস্ত করার পণ নিয়েছেন রাহুল গান্ধী। সেক্ষেত্রে, পতিদার, ঠাকোর ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির সমর্থন যদি কংগ্রেসের হাত শক্ত করে তাহলে লড়াই অন্য মাত্রা পাবে।


আরও পড়ুন- মাঝরাতে কংগ্রেসের সঙ্গে 'গোপন' বৈঠক, অনুপস্থিত হার্দিক