নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত। ফুলপুর, গোরক্ষপুরের পর এবার কৈরানা লোকসভা কেন্দ্রও হাত ছাড়া হল গেরুয়া শিবিরের। বলাবাহুল্য, এবার বিজেপির কাছ থেকে এই কেন্দ্রটি কার্যত ছিনিয়ে নিয়েছেন রাষ্ট্রীয় লোক দলের প্রার্থী তবাসসুম বেগম। ২০০৯-এর লোকসভায় এই কেন্দ্রটি ছিল তাঁরই দখলে। তবে প্রবল মোদী ঝড়ে ২০১৪ সালে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল পদ্ম শিবির। কিন্তু, উপনির্বাচনের সুযোগ আসতেই বিজেপিকে গোহারান হারিয়ে তাত্পর্যপূর্ণ জয় হাসিল করল অজিত সিং-এর দল। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফলে বিজেপি প্রার্থী মৃগঙ্ক সিং-এর থেকে প্রায় ৫ হাজারের বেশি ভোটেজয় পেয়েছেন বেগম সাহেবা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- কর্ণাটকে অর্থ পেল জেডিএস, স্বরাষ্ট্র কংগ্রেসের


গোবলয়ে বিজেপির ঘাঁটি থেকে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে এনেএই মুহূর্তেজোট শিবিরে রাতারাতি ‘হিরো’ বনে গিয়েছেন বেগম। তবে, এই জয়ের পর শুধু নিজের দল আরএলডি-কে নয়, সহকারি দলগুলিকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এদিন তবাসসুম বলেন, “সবাই একজোট হয়ে আমাদের সঙ্গে থেকেছেন। অন্যান্য দলও সমর্থন করেছে। ইনসা আল্লা, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে  ধূলিসাত্ করে দেওয়া হবে বিজেপিকে।


আরও পড়ুন- উপনির্বাচনে হারের মাঝেই শেষবেলায় মোদীর মুখে চওড়া হাসি


এ দিন ফল স্পষ্ট হতেই বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে থাকেন বেগম। জিন্না প্রসঙ্গে এদিন সরব হন তিনি। সটান জানিয়ে দেন, বাস্তব সমস্যা নিয়ে কোনও মাথাব্যাথা নেই ক্ষমতাসীন বিজেপির। জিন্নার ছবি নিয়ে বিতর্ক তৈরি করতেই ব্যস্ত তারা। বেগমের মতে, একসময় তিনি (মহম্মদ আলি জিন্না) এ দেশে থাকতেন। কিন্তু সময়ের পরিবর্তন (স্বাধীনতার পর) হয়েছে। এই বিতর্ক এখন অর্থহীন। এর সঙ্গেই সদ্য জয়ী প্রার্থীর শ্লেষ, চাষি-দরিদ্রের সমস্যার প্রশ্ন তুললেইপদ্ম ব্রিগেডের মুখে কুলুপ এঁটে যায়।


আরও পড়ুন- নিজের নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা করলেন 'তৃণমূলে বহিরাগত' বাইচুং


বছর আটচল্লিশের আরএলডি নেত্রী এবারে ভোট পেয়েছেন ৪,০১,৪৬৪টি। সাড়ে ৩ লক্ষের বেশি ভোট পেয়েছে নিকটতম বিজেপি প্রার্থী মৃগাঙ্ক। উল্লেখ্য, বেগম তবাসসুম হাসানের স্বামী মুনওয়ার হাসান ছিলেন সপার নেতা। ২০০৮ সালে পথ দুর্ঘটনায় মারা যান মুনওয়ার। এমনিতে সপা ঘনিষ্ঠ হলেও এবারের নির্বাচনে বিরোধী ঐক্যের প্রার্থী হিসাবে তিনি আরএলডির টিকিটে ভোটে লড়েন। 


আরও পড়ুন- এনডিএ-তে চিড়? উপনির্বাচনে খারাপ ফলের পরই শরিকি দোষারোপ