টাকার পতনে আন্তর্জাতিক কারণকে দায়ী উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রীর
লাগাতার পড়তে থাকা টাকার দর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী। টাকার দর নিয়ন্ত্রণ করতে ইউপিএ সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা জানতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর বয়ান দাবি করছিল বিরোধীরা। চাপের মুখে শুক্রবার লোকসভায় বিবৃতি দিলেন মনমোহন সিং।
লাগাতার পড়তে থাকা টাকার দর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী। টাকার দর নিয়ন্ত্রণ করতে ইউপিএ সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা জানতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর বয়ান দাবি করছিল বিরোধীরা। চাপের মুখে শুক্রবার লোকসভায় বিবৃতি দিলেন মনমোহন সিং।
টাকার দাম কমার জন্য প্রধানমন্ত্রী দায়ী করেছেন 'আমেরিকার পরিবর্তিত পরিস্থিতিকে'; ইঙ্গিত করেছেন 'সিরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতাকে'; মেনে নিয়েছেন 'অভ্যন্তরীণ কারণ'কেও। এ দিন তিনি বলেন, ''এটা অস্বীকার করার উপায় নেই, দেশ কঠিন আর্থিক অবস্থার মুখোমুখি। তার একাধিক কারণ আছে। আমি যেমন অভ্যন্তরীন কারণকে এর জন্য অস্বীকার করছি না, তেমনই বেশকিছু আন্তর্জাতিক পরিস্থিকেও এর জন্য দায়ী করতে হবে।" তিনি আরও বলেন, "দর কমা শুধু টাকার ক্ষেত্রেই হচ্ছে না, অন্য দেশের আর্থিক অবস্থাও একই।"
সংসদে বক্তব্য রাখতে রাখতেই হাতে ধরা তালিকা থেকে 'আর্থিক অসুখ' কাটিয়ে ওঠার সরকারী প্রচেষ্টার খতিয়ান তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "আমাদের চেষ্টা বাজার চাঙ্গা করতে ফলপ্রসূ হবে বলে আশা করছি।''
বিশেষ করে দেশের চড়া কারেন্ট একাউন্ট ডেফিসিট টাকার দাম কমার জন্য যে দায়ী নয়, তা হলফ করে বলতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, "চলতি খাতে ঘাটতি রয়েছে। ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে।" রপ্তানিতে বৃদ্ধি ঘটাতে পারলেই এই অবস্থার ফেরবদল সম্ভব বলে মনে করছেন মনমোহন সিং। সেইসঙ্গে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন তিনি। এত কিছুর পরেও সরকার যে মুক্ত অর্থনীতির পথ থেকে সরে আসবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশবাসীকে সোনার ব্যবহার কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।