নিজস্ব প্রতিবেদন: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি-সহ মোদী সরকারের একগুচ্ছ জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে সোমবার দেশজুড়ে চলছে বনধ। অ-বিজেপি দলগুলি এ ভাবে পথে নামায় রীতিমতো অস্বস্তিতে বিজেপি সরকার। এর উপর বিষ ফোঁড়ার মতো প্রতিদিন ডলারের নিরিখে খাদে তলিয়ে যাচ্ছে টাকার দর। সোমবার নতুন করে ৪৫ পয়সা পড়ে গিয়ে ফের রেকর্ড গড়ল টাকার পতন। এ দিন সকালে বাজার খোলার পর ডলার প্রতি টাকার দর দাঁড়ায় ৭২.১৫। এরপরই এক ধাক্কায় তা ৪৫ পয়সা পড়ে যায়। গত ৬ সেপ্টেম্বর রেকর্ড পতনের সাক্ষী হয়েছিল টাকা। সেদিন ডলারের নিরিখে টাকার দর দাঁড়িয়েছিল ৭২.১১-তে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের কেঁপে উঠল রাজধানী, সাতসকালেই আতঙ্ক দিল্লিতে


ধারাবাহিক পতনের পর গত সপ্তাহের শেষে একটু উঠে দাঁড়িয়েছিল টাকা। কিন্তু বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের ছ্যাঁকায় ডলারের তুলনায় টাকার দরের পতন অব্যাহত থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জ্বালানি তেল আমদানিতে আরও বেশি টাকা খরচ করতে হবে কেন্দ্রকে। যারা জেরে জ্বালানি তেলের পাশাপাশি মূদ্রাস্ফীতি বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। অর্থাত্ যে ইস্যু নিয়ে দেশজুড়ে বনধ পালিত হচ্ছে, কেন্দ্র তাতে রাশ না টানলে জ্বালানি তেলের দাম যে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।


আরও পড়ুন- ৮৯ বছর বয়সেও পরীক্ষা দিচ্ছেন এই স্বাধীনতা সংগ্রামী


এই বিশেষজ্ঞদের আরও দাবি, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির দোসর হিসাবে কাজ করছে বাণিজ্য যুদ্ধে মার্কিন-চিন টানাপোড়েন। হিসেব বলছে, প্রায় ৫ হাজার ডলার চিনা পণ্যে বাড়তি আমদানি শুল্ক বসিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে বাণিজ্যিক ঘাটতি মেটাতে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপে তেমন সুরাহা হয়নি। উল্টে বুমেরাং হয়ে দেশের নিত্যপ্রয়োজনী জিনিস চড়া দামে কিনতে হচ্ছে নাগরিকদের। ফলে এই বাণিজ্য যুদ্ধের জেরে এশিয় বাজারেও মন্দা দেখা দিয়েছে। সোমবার বাজার খুলতেই ১৫০ পয়েন্ট নীচে দেখা যায় সেনসেক্সকে। ৩৮,২১৮ অঙ্কে ট্রেড করে সেনসেক্স সূচক। অন্য দিকে নিফটিও ৪৯ পয়েন্ট পড়ে দাঁড়ায় ১১,৫৩৯ অঙ্কে। অন্যদিকে সে ভাবে চাঙ্গা নেই জাপান, সিঙ্গাপুর, হংকং-এর শেয়ার বাজারও।


আরও পড়ুন- মুম্বই-পটনা-ভারুচে রেল অবরোধ-ব্যবসা বন্ধ করে তুলকালাম বনধ সমর্থকদের


জানা গিয়েছে, টাকার পতনের রাশ টানতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে, কেন্দ্রের সাফাই, ডলারের নিরিখে টাকার পতন সমায়িক। বিশ্ব বাজারে তেলের দর নিয়ন্ত্রণে এলেই এই সমস্যা মিটে যাবে বলে দাবি অর্থমন্ত্রকের। কিন্তু সে সম্ভাবনা যে আদৌ রয়েছে, তেমন কোনও লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। ইরানের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় অনেকটাই দোটানায় রয়েছে ভারত। ইরানের থেকে তেল আমদানি করতে বেশ জল মাপতে হচ্ছে নয়া দিল্লিকে। পাশাপাশি ভেনেজুয়েলার আর্থিক বিপর্যয়ে চাহিদার তুলনায় তেল উত্তোলনও কম হচ্ছে।  তবে, জ্বালানি তেলের নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র যে অসহায় যে কথা স্পষ্ট খোদ পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।