রাজীব চক্রবর্তী: শনিবার দিল্লিতে শুরু হয়েছে বিজেপির জাতীয় কাউন্সিলের অধিবেশন। দু'দিন ব্যাপী ওই অধিবেশের প্রথম দিনেই যে প্রস্তাব পেশ হয়েছে সেখানে একটি অনুচ্ছেদে রাখা হয়েছে সন্দেশাখালির ঘটনা। ওই প্রস্তাবে সন্দেশখালির ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে সন্দেশখালির ঘটনা হৃদয় বিদারক, গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে ওই ঘটনা। স্বাধীনতার পর এমন নক্কারজনক ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। শুধুমাত্র বাংলাকে ওই ঘটনা কলঙ্কিত করছে এমন নয়, বরং মানবতাকে অপমান করেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-অনুব্রত-হীন বীরভূমে মমতা, লোকসভা ভোটের আগে জেলা সংগঠনের রদবদল!


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, রাজ্যে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আশ্রয়ে থাকা দুষ্কৃতীরা মহিলাদের উপরে অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে। এমন ঘটনা সভ্য সমাজ বরদাস্ত করবে না। বিজেপি ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। ওই ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছে বিজেপি।


বৈঠকে আজ প্রথম রাজনৈতিক প্রস্তাব পেশ করেন রাজনাথ সিং। সেখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী একটি অনুচ্ছেদ বরাদ্দ করেছেন সন্দেশখালির জন্য।  বুক চিতিয়ে লড়াইয়ের জন্য বঙ্গ বিজেপিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজনাথ। জানা যাচ্ছে বৈঠকের দ্বিতীয় দিনেও সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে বলবেন। আগামিকাল আরও একটি প্রস্তাব পেশ করবেন অমিত শাহ। সেখানেও উঠতে পারে সন্দেশখালির ঘটনা ফলে বোঝাই যাচ্ছে সন্দেশখালির ঘটনাকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি।


অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, আগামী একশো দিন দলের কর্মীদের তাঁর কেন্দ্র থাকতে হবে। প্রতিটি ভোটদাতাকে গিয়ে বলতে হবে গত ১০ বছরে কী কাজ করেছে সরকার। দেশের ঐক্য বজায় রাখতে শ্যামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ৩৭০ ধারা বাতিলের  দাবি তুলেছিলেন। এর জন্য তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ করেছিলেন। বিজেপির উচিত ৩৭০ আসনে জয়ী হওয়া।  


অন্যদিকে, বিজেপি সূত্রে খবর রাজ্য সফরে আসতে পারেন প্রধনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সন্দেশখালির ঘটনার কথা মাথায় রেখে রাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর একটি সভা করাতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের চিঠি দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। ওই সভা বারাসতে করাতে পারে দল। সভা হতে পারে ৭ মার্চ। ইতিমধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনা মহিলা মোর্চার তরফে ওই সমাবেশের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর। সমাবেশের নাম দেওয়া হয়েছে 'মহিলা ন্যায় সমাবেশ'। রাজ্যের তরফে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওই প্রস্তাব গেলেও প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কোনও চূড়ান্ত সম্মতি দেওয়া হয়নি। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর কোনও পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি না থাকলে প্রধানমন্ত্রী যেতে পারেন বলে জানানো হয়েছে। এমনটাই বিজেপি সূত্রে খবর।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp