মোদীকে চাপে ফেলে সঞ্জয় যোশির সমর্থনে পোস্টার গুজরাটে

"কহো দিল সে/ সঞ্জয় যোশি ফির সে"! মুম্বইয়ে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির অধিবেশন শেষ হওয়া ইস্তক শুরু হয়েছিল টানাপোড়েন। মঙ্গলবার সকালে আমদাবাদ-গান্ধীনগরের রাস্তায় দেখা গেল গেরুয়া শিবিরের অভ্যন্তরীণ চোরাস্রোতের বেআব্রু বহিঃপ্রকাশ।

Updated By: Jun 5, 2012, 05:49 PM IST

"কহো দিল সে/ সঞ্জয় যোশি ফির সে"! মুম্বইয়ে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির অধিবেশন শেষ হওয়া ইস্তক শুরু হয়েছিল টানাপোড়েন। মঙ্গলবার সকালে আমদাবাদ-গান্ধীনগরের রাস্তায় দেখা গেল গেরুয়া শিবিরের অভ্যন্তরীণ চোরাস্রোতের বেআব্রু বহিঃপ্রকাশ।
মুম্বই অধিবেশনের শুরুতেই নরেন্দ্র মোদীর চাপে দলের জাতীয় কর্মসমিতি থেকে সঞ্জয় যোশিকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি নীতিন গডকড়ি। এবার `ছোটে সর্দার`-এর খাসতালুকে সঞ্জয় যোশিকে ফেরত আনার দাবিতে পোস্টার-হোডিং-ফ্লেক্স লাগালেন তাঁর সমর্থকরা। শুধু সঞ্জয় যোশিকে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটিতে ফিরিয়ে আনার দাবি নয়, বিজেপির মতো দলে কোনও ব্যক্তিবিশেষের(পড়ুন নরেন্দ্র মোদী) `দাদাগিরি` চলতে পারে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে ওই পোস্টারে।

আর মাত্র পাঁচ মাস পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই কেশুভাই প্যাটেল, সুরেশ মেহতা, কাশীরাম রানা-সহ গুজরাত বিজেপি বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতা প্রকাশ্যে মোদীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রবল মোদী-বিরোধী হিসেবে পরিচিত সঞ্জয়কে ফেরানোর দাবিতে দলের একাংশের উদ্যোগ বিধানসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদীকে চাপে ফেলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অন্যদিকে এদিনই নরেন্দ্র মোদীর একটি মন্তব্য ঘিরে গুজরাত রাজনীতিতে বিতর্ক চরমে উঠেছে। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন না গুজরাটের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছিলেন এদিন কড়া ভাষায় তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, মুম্বইতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী বলেছিলেন, ইন্দিরার জমানার উত্তর-পূর্ব ভারতের খ্রিস্টান অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে ভোটে লড়ার সময় কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারে বাইবেলে বর্ণিত আদর্শ রাজ্য গড়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত। যা কোনওমতেই ধর্মনিরপেক্ষতার উদাহরণ হতে পারে না।

.