জেলে মোমবাতি বানাবেন 'কোটিপতি' শশীকলা, দিনমজুরি ৫০ টাকা
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে দাঁড়ি পড়েছে। গতকাল আত্মসমর্পণ করেছেন। তারপরই শশীকলা নটরাজনকে বেঙ্গালুরুর পারাপান্না অগ্রহারা জেলে পাঠানো হয়েছে। আগামী ৪ বছর সেটাই তাঁর ঠিকানা। জেলের ৭৪০৩ নম্বর সেলেই এখন চিন্নাম্মার দিনরাত কাটবে।
ওয়েব ডেস্ক : কয়েদি নম্বর ৯২৩৪! সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে দাঁড়ি পড়েছে। গতকালই আত্মসমর্পণ করেছেন। তারপরই শশীকলা নটরাজনকে পাঠানো হয়েছে বেঙ্গালুরুর পারাপান্না অগ্রহারা জেলে। আগামী ৪ বছর সেটাই তাঁর ঠিকানা। জেলের ৭৪০৩ নম্বর সেলেই এখন দিনরাত কাটবে চিন্নাম্মার।
দুর্নীতি মামলায় সাজা পেয়েছেন 'চিন্নাম্মা'। আয় বহির্ভূত কোটি টাকার সম্পত্তি তাঁর। সেই 'কোটিপতি' চিন্নাম্মা এবার জেলে বসে মোমবাতি তৈরি করবেন। দিন মজুরি ৫০ টাকা। হাইপ্রোফাইল হলেও তাঁর জন্য বিশেষ কোনও খাতির যত্ন থাকছে না জেলের ভিতর। আম্মার মৃত্যুতে প্রাসাদসম পোয়েজ গার্ডেনের 'মালকিন' হয়ে উঠেছিলেন চিন্নাম্মা। কিন্তু এখন জেলের একটা ছোট্ট কুঠুরিই শশীকলাকে ভাগ করে নিতে হবে অন্য বন্দিদের সঙ্গে। ভোগ-বিলাসে অভ্যস্ত শশীকলাকে জেলের ভিতর থাকার জন্য দেওয়া হবে একটি খাটিয়া, একটি তোষক, একটি টেবিল ফ্যান এবং মাত্র তিনটি শাড়ি।
তবে চিন্নাম্মার এটাই প্রথম হাজতবাস নয়। ২০১৪ সালে নিম্ন আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর, এই পারাপ্পানা জেলেই ২১ দিন কাটিয়েছিলেন শশীকলা। সেইসময় আম্মা ছিলেন VVIP সেল ২৩ নম্বরে। আর শশীকলা ও ইলাভারাসি ছিলেন একসঙ্গে অন্য সেলে। পরে উচ্চ আদালতে সেই রায় খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট ফের বহাল রাখে নিম্ন আদালতের রায়ই। এবার অবশ্য ইলাভারাসি ও সুধাকরণ, প্রত্যেককেই রাখা হচ্ছে আলাদা আলাদা সেলে।
সূত্র বলছে, এবার সেই '২৩ নম্বর' সেলটিতেই থাকার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন শশীকলা। কিন্তু আদালতে তাঁর সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় কোনও 'বিশেষ খাতির-যত্ন' পাবেন না শশীকলা। পাবেন না বাতানুকূল সেলও। এছাড়া ওয়েস্টার্ন ক্লোসেট টয়লেট, গরম জল, ২৪ ঘণ্টা ডাক্তারি পরিষেবার জন্যও আবেদন জানিয়েছেন চিন্নাম্মা। যেগুলো এখনও আদালতের বিচারাধীন।
আরও পড়ুন, অবশেষে আত্মসমর্পণ শশীকলার, পাঠনো হল বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা অগ্রহারা জেলে