পুরনো নোট জমা করতে খোলা হোক জানলা, মোদী সরকারকে সুপ্রিম প্রস্তাব
পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট জমা করার জন্য খোলা হোক জানলা, কেন্দ্র সরকার এবং রিজার্ভ ব্যঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে এই প্রস্তাবই দিল ভারতের শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট ভারত সরকার এবং রিজার্ভ ব্যঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে এই প্রস্তাব দেওয়ার প্রসঙ্গে বলে, কোনও অপরাধ না করেই সাধারণ মানুষ তার সঞ্চিত অর্থ থেকে বঞ্চিত হোক, এমনটা কখনই কাম্য নয়।
ওয়েব ডেস্ক: পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট জমা করার জন্য খোলা হোক জানলা, কেন্দ্র সরকার এবং রিজার্ভ ব্যঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে এই প্রস্তাবই দিল ভারতের শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট ভারত সরকার এবং রিজার্ভ ব্যঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে এই প্রস্তাব দেওয়ার প্রসঙ্গে বলে, কোনও অপরাধ না করেই সাধারণ মানুষ তার সঞ্চিত অর্থ থেকে বঞ্চিত হোক, এমনটা কখনই কাম্য নয়। প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর এবং বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এদিন জানিয়ে দেয়, " সাধারণ মানুষ কোনও অবস্থাতেই নিজের সঞ্চিত অর্থ থেকে বঞ্চিত হতে পারে না, কোনও সমস্যাতেই কখনই কেন্দ্র সরকার এটা করতে পারে না। যাদের সত্যিই সমস্যা ছিল এবং কোনও বিশেষ কারণে নির্ধারিত সময়ে পুরনো নোট ব্যাঙ্কে জমা করাতে পারেনি, সরকার পুনর্বিবেচনা করে সেই টাকা জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করুক।" আরও একধাপ এগিয়ে শীর্ষ আদালত জানতে চায়, " ধরে নেওয়া যাক, নোট বাতিলের সময় কোনও ব্যক্তি সংশোধনাগারে ছিলেন, তিনি কীভাবে নিজের সঞ্চিত অর্থ ব্যাঙ্কে জমা করবেন? নোট বদলের ক্ষেত্রে তিনি কেন বাধাপ্রাপ্ত হবেন?"
উল্লেখ্য, গত বছরই আর্থিক সংস্কারের বিষয়কে সামনে তুলে ধরে 'নোট বন্দি'র মত একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেই হৈ চৈ পড়ে যায় গোটা দেশে। পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিসে জমা করার নির্দেশ দেয় সরকার। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যেই পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট জমা করতে হবে, এমনই নির্দেশিকা ছিল সরকারের।
ভারত সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী দেশের মানুষ ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিসে তড়িঘড়ি পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট জমা করতে শুরু করে। এরই মধ্যে বাজারে নতুন ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোট নিয়ে আসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। তবে ওই সময়ের মধ্যে যারা টাকা জমা করতে পারেনি তাদের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কে টাকা জমা করার পথ খুলে দেয় সরকার, সময়সীমা ছিল ৩১ মার্চ, ২০১৭ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যেও যারা ৫০০ এবং ১০০০ টাকার পুরনো নোট ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস কিংবা রিজার্ভ ব্যাঙ্কে জমা করতে পারেনি, তাদের টাকা জমা করা এবং টাকা বদলের জন্যই সওয়াল করল ভারতের শীর্ষ আদালত।