নিজস্ব প্রতিবেদন- দায়িত্ব বনাম মাতৃত্ব। দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ তাঁর কাছে। দুটির মধ্যে কোনও ক্ষেত্রেই তিনি বিন্দুমাত্র ফাঁক রাখতে চান না। তাই দায়িত্ব নিয়ে মাতৃত্ব যেমন সামলাচ্ছেন, তেমনই কাজের জায়গাতেও কোনও ফাঁকি রাখছেন না। গাজিয়াবাদের মোদিনগরেরর আইএএস অফিসার সৌম্যা পান্ডে এখন গোটা দেশে আলোচনার কেন্দ্রে। তাঁর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সৌম্যা তাঁর দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে সরকারি অফিসে কাজ করছেন। এদেশে সরকারি কর্মীদের বদনামের শেষ নেই। অবশ্য এর পেছনে সরকারি চাকরির আশায় থাকা যুবক-যুবতীদের মানসিকতা কিছুটা দায়ী। একবার সরকারি চাকরি পেলে সারা জীবন আরামে, বসে মাইনে পাওয়া যায়! এই মানসিকতা বহু মানুষের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু সৌম্যা সেই মানসিকতার নয়। সরকারি চাকরি মানে বাড়তি দায়িত্ব। দেশের মানুষের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই সেখানে কোনো ফাঁক রাখা চলে না।
মাত্র ২৪ দিনের মেয়েকে কোলে নিয়ে কাজে এসেছেন তিনি। মোদিনগরের উপজেলা আধিকারিক তিনি। বছরখানেক আগেই সৌম্য পান্ডে মোদিনগর উপজেলা আধিকারিক পদে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বি টেক-এ গোল্ড মেডেল পেয়েছিলেন সৌম্যা পান্ডে। তারপর প্রথমবারের চেষ্টাতেই আইএএস-এর পরীক্ষায় সেরা দশের মধ্যে তাঁর নাম উঠে আসে। তারপরই মোদি নগরের উপজেলা আধিকারিকের দায়িত্ব সামলাতে নেমে পড়েন তিনি।
আরও পড়ুন- দেশের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর! করোনা এতদিনে ভারতবাসীকে খানিকটা রেহাই দিল
করোনার আবহে গর্ভবতী মহিলাদের পাবলিক প্লেস থেকে দূরত্ব বজায় রাখার গাইডলাইন দিয়েছে সরকার। গত কয়েক মাস ধরে অফিসে থেকেই কাজ করেছিলেন সৌম্যা। ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। মেয়ের জন্মের ১৫ দিন পরেই কাজে যোগ দেন। তারপরই দু'সপ্তাহের মেয়েকে কোলে নিয়ে কাজ করার একটি ছবি ভাইরাল হয়। সৌম্যা জাপানের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে ডেলিভারির কিছু সময় পরই মহিলারা কাজে যোগ দেন। শরীর-স্বাস্থ্য ভাল থাকলে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর মায়ের কাজে যোগ দিতে কোনো বাধা থাকে না। অকারণে বাড়িতে শুয়ে বিশ্রাম নেওয়ার কোনো মানে হয় না।
দু'সপ্তাহের বাচ্চা কোলে! সরকারি কর্মীদের জন্য দৃষ্টান্ত রাখলেন মহিলা আইএএস অফিসার