খুনই হয়েছিলেন সুনন্দা পুষ্কর, সব জানত দিল্লি পুলিস!
পুষ্করের ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বিষের অস্তিত্ব মিলেছিল। তার পরই গোটা ঘটনাটি খুন কিনা তা ফের খতিয়ে দেখতে বলা হয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যু রহস্যে প্রকাশ্যে এল নতুন তথ্য।
দিল্লির হোটেলে সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যুর প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন দিল্লির ডেপুটি কমিশনার বি এস জয়সয়াল। সেই রিপোর্টে স্পষ্ট লেখা ছিল, ‘ওই মৃত্যু তদন্তের তদারকি করেছিলেন বসন্তবিহার সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট অলোক শর্মা নিজে। তাঁর মত, সুনন্দার মৃত্যু আত্মহত্যা নয়। এটি কোনও খুনের ঘটনা কিনা তা খতিয়ে দেখা হোক।’ এমনটাই দাবি করেছে সর্বভারতীয় দৈনিক ডিএনএ।
আরও পড়ুন-শামি কাণ্ডে বিসিসিআই-এর কাছে তথ্য চাইল কলকাতা পুলিস
পুষ্করের ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বিষের অস্তিত্ব মিলেছিল। তার পরই গোটা ঘটনাটি খুন কিনা তা ফের খতিয়ে দেখতে বলা হয়। পুষ্করের ময়না তদন্তের রিপোর্টে লেখা হয়, ‘বিষক্রিয়ার ফলেই মৃত্যু বলে মনে হচ্ছে। তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে মনে হচ্ছে অ্যালপ্রাজোলাম থেকেই ওই বিষক্রিয়া হয়েছে। দেহে যেসব আঘাতের চিহ্ন মিলেছে তা সম্ভবত কোনও ভোঁতা কোনও বস্তুর। দেহে একাধিক ক্ষতও মিলেছে। তার মধ্যে ১০ নম্বর ক্ষতটি ছিল তা একটি ইনজেকশনের। পুষ্করের দেহে ১-১৫ নম্বর ক্ষত ১২ ঘণ্টা থেকে ৪ দিনের পুরনো।’
সুনন্দা পুষ্করের ময়না তদন্তের রিপোর্ট ছাড়াও ডিএনএ-র হাতে এসেছে ফিঙ্গার প্রিন্ট, কেমিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট। সবক'টি রিপোর্টই খুনের দিকে ইঙ্গিত করেছে বলে দাবি ডিএনএ-র। রিপোর্টে আরও লেখা হয়েছে, সুনন্দা পুষ্করকে বিষ খাওয়ানো হয়ে থাকতে পারে। ইনজেকশনের মাধ্যমে তা দেহে প্রবেশ করিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দিল্লির লীলা প্যালেস হোটেলের একটি ঘরে রাত ৯টা নাগাদ মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় সুনন্দা পুষ্করকে। এদিনই তাঁর একটি সাংবাদিক বৈঠক করার কথা ছিল। তার আগেই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় সুনন্দার।