মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের উত্তাপে ধস ভারতের শেয়ার বাজারে
গত ছয় মাসে এমন দুর্দিন দেখেনি শেয়ার বাজার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দুই দেশের সংঘাতে ক্রমশই বাড়ছে উত্তাপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের সেই উত্তাপের আঁচ স্পর্শ করছে ভারতকেও। দুই দেশের হুঁশিয়ারি, পাল্টা জবাবের প্রভাবে ধস নামল ভারতের শেয়ার বাজারে। এক ধাক্কায় ৭৮৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স। পতন হল নিফটিরও। প্রায় ২৩৪ পয়েন্ট কমে ১১,৯৯৩-এ দাঁড়াল নিফটি। গত ছয় মাসে এমন দুর্দিন দেখেনি শেয়ার বাজার।
কী কারণে এমন ইন্দ্রপতন? বিশেষজ্ঞরা এর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যে চলা চরম সংঘাতকেই দায়ী করছেন। সোমবার সকালে বাজার খুলতেই যে এমন হবে, তার আঁচ আগেই করা গিয়েছিল। তবে, এমন অকস্মাত্ পতন হয় তো সকলের প্রত্যাশিত ছিল না। এদিন বাজার খুলতেই ব্যাঙ্ক, অটোমোবাইল, মিডিয়া, খনিজ ইত্যাদি সেক্টরে পতন দেখা দেয়।
জেনারেল কাসেম সুলেমানির হত্যার পরেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। শনিবার মধ্যরাতে পাল্টা হুঙ্কার দিয়ে টুইট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের সাফ কথা, আমেরিকার কোনও ব্যক্তি বা সম্পত্তির ওপর আঘাত এলে ইরানের ৫২টি ঘাঁটিতে দ্রুত ও কড়া আক্রমণ করা হবে। ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, ইতিমধ্যেই ইরানের ৫২টি ঘাঁটিতে লক্ষ্য স্থির করে রেখেছে মার্কিন সেনা। সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে যুদ্ধের আগের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা বলাই যায়। এমন টালমাটাল পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। আর তারই আঁচ পড়ছে শেয়ার বাজারে।
আরও পড়ুন: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা; ভোটগ্রহণ ৮ ফেব্রুয়ারি, ১১ তারিখ গণনা
বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে। বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে ডমিনো এফেক্ট-এ পতন হয়েছে শেয়ার বাজারে। দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানের বাজারেও পতন হয়েছে।
এছাড়াও দুই দেশের সংঘাতের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অপরিশোধিত তেলের দাম। ভারতের মতো দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশই আমদানি করতে হয়। তাই ভারতের বাজারে যে এর প্রভাব পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।