'কেরিয়ারে' ৩০ ধর্ষণ-১৫ খুন! কর্ণাটকের জেলে আত্মঘাতী ‘সাইকো শঙ্কর’
তার মাথার উপরে ঝুলছিল ৩০টি ধর্ষণ ও ১৫টি খুনের মামলা। তাকে ধরতে এক সময়ে নাকানোচোবানি খেতে হয়েছে দুই রাজ্যের পুলিসকে। ভয়ঙ্কর সেই অপরাধীই শেষপর্যন্ত ব্লেড দিয়ে গলা কেটে নিজেকে শেষ করে দিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তার মাথার উপরে ঝুলছিল ৩০টি ধর্ষণ ও ১৫টি খুনের মামলা। তাকে ধরতে এক সময়ে নাকানোচোবানি খেতে হয়েছে দুই রাজ্যের পুলিসকে। ভয়ঙ্কর সেই অপরাধীই শেষপর্যন্ত ব্লেড দিয়ে গলা কেটে নিজেকে শেষ করে দিল।
বুধবার সকালে কর্ণাটকের সালেমের পারাপ্পনা আগরাহারা জেল রক্তাক্ত অবস্থা উদ্ধার করা হয় তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকের কুখ্যাত ‘সাইকো কিলার’ এম জয়শঙ্করকে। একের পর এক খুন ও জেল পালানো এই অপরাধীর উপরে নির্ভর করেই তৈরি হয়েছিল কন্নড় ছরি ‘সাইকো শঙ্কর’। সেই থেকে এম জয়শঙ্কর সাইকো শঙ্কর নামেই পরিচিত ছিল।
মঙ্গলবার ভোররাতে জেলের অন্যান্য কর্মীরা দেখে ব্লেড দিয়ে গলার নলি কেটে ফেলেছে জয়শঙ্কর। রক্তে চারদিক ভেসে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই শঙ্করকে ভর্তি করা হয় বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে। সেখানেই সকাল পাঁচটা নাগাদ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন-মৃত্যুর পর বয়স কমল শ্রীদেবীর!
জেল কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, জয়শঙ্কর কারাগারের নাপিতের কাছ থেকে একটি ভাঙা ব্লেড চুরি করে শঙ্কর। সেই ব্লেড দিয়েই সে নিজের গলা চিরে ফেলে। ক্লাস টুয়েলভ পাস করে ট্রাক চালানোর পেশা গ্রহণ করার পর অপরাধে হাতেখড়ি সালেমের বাসিন্দা জয়শঙ্করের।
২০০৯ সালে এক মহিলা পুলিস কর্মীকে খুন করার পর সে প্রথম পুলিসের নজরে আসে। সে বছর কর্ণাটকের কানগেমন-এ অল ওমেন পুলিস স্টেশনের কনস্টেবল এম জয়ামনিকে(৩৯) ধর্ষণ করে খুন করে জয়শঙ্কর। ওই মামলায় ২০০৯ সালে গ্রেফতার হয় জয়শঙ্কর। জেরায় জানা যায় ২০০৮ সালে ত্রিরুপুরে এক ধর্ষণের মামলাতেও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় ২০০৮ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত মোট তিন জেলায় ১৩টি ধর্ষণ করেছে সে।
২০১১ সালে ১৭ মার্চ একটি খুনের মামলায় জয়শঙ্করকে ধর্মপুরি ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আদালতের পথেই পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে পালায় এই অপরাধী। এরপর মে মাসের ১১ তারিখ তাকে ফের ধরা হয়। এর মধ্যেই সে ৬ মাহিলাকে ধর্ষণ করে। পুলিসের ধারনা, বেছে বেছে একাকী মহিলাদেরই টার্গেট করত জয়শঙ্কর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলাদের ধর্ষণ করে খুন করে ফেলতো সো। এমন এক অপরাধী যে শেষপর্যন্ত আত্মহত্যা করল, এতেই অবাক পুলিস।