লাগাতার যৌন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা পঞ্জাবের কিশোরীর

ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু এ দেশের হাজার হাজার মেয়েদের মতই তার স্বপ্নও অলীক হয়েই রয়ে গেল। তবে সবার পরিণতি হয়ত এতটাও ভয়াবহ হয় না। দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শনিবার নিজের গায়েই আগুন ধরিয়ে দেয় পঞ্জাবের ১৬ বছরের এক কিশোরী। পুড়ে যায় দেহের ৭০%। সেই অবস্থায় তাকে চণ্ডিগড়ের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ ভোরে সেখানেই মৃত্যু হয় তার।

Updated By: Aug 11, 2015, 05:11 PM IST
  লাগাতার যৌন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা পঞ্জাবের কিশোরীর

ব্যুরো: ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু এ দেশের হাজার হাজার মেয়েদের মতই তার স্বপ্নও অলীক হয়েই রয়ে গেল। তবে সবার পরিণতি হয়ত এতটাও ভয়াবহ হয় না। দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শনিবার নিজের গায়েই আগুন ধরিয়ে দেয় পঞ্জাবের ১৬ বছরের এক কিশোরী। পুড়ে যায় দেহের ৭০%। সেই অবস্থায় তাকে চণ্ডিগড়ের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ ভোরে সেখানেই মৃত্যু হয় তার।

কাল বানজারা গ্রামের ইঁট-ভাটার শ্রমিকের মেয়ে ওই কিশোরী টানা ২০ দিন যৌন নির্যাতন সহ্য করার পর শনিবার এই ভয়াবহ পদক্ষেপ নেয় সে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রকাশ সিং বাদলের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পঞ্জাব পুলিস এতই ব্যস্ত ছিল যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতেই দু'দিন কাটিয়ে দিল তারা। 

মৃত্যুকালীন জবানবন্দীতে মেয়েটি জানিয়ে গেছে গত ২০ দিন ধরে তাদের গ্রামের জাট সম্প্রদায়ের তিন ও পাশের গ্রামের এক যুবক লাগা লাগাতার হেনস্থা করছিল। তাকে ধাওয়া করছিল। দেখলেই ছুঁড়ে দিচ্ছিল অশ্লীল মন্তব্য। এই তিনজনেরই নাম জানিয়ে গেছে সে। 

কিছু দিন আগেই এই দুষ্কৃতীদের একজন সবার সামনেই মেয়েটিকে চড় মারে। ''আমি আতঙ্কিত হয়ে উঠে ছিলাম। ভয় পেয়েছিলাম। ''বাবা-মা জানতে পারলে আমাকে হয়ত স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দিত। তার থেকে নিজেকে পুড়িয়ে ফেলাই ভাল মনে হয়েছিল।'' 

এখনও পর্যন্ত পলাতক চার অভিযুক্তই। তাদের খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে পুলিস। 

 

.