শিনার পর টার্গেট ছিল মিখেইল! প্রাণহানির আশঙ্কাপ্রকাশ মিখেইলের
গতকাল তার বয়ানেই চাঞ্চল্যকর মোড় শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে। এরপরেই সামনে আসে একের পর এক নাটকীয় তথ্য। এবার নিজেরি প্রাণহানির আশঙ্কাপ্রকাশ মিখেইল বোরার। দাদুদিদিমা অসুস্থ তাই পুলিসি তলবে এখনই গুয়াহাটি ছেড়ে মুম্বই যাওয়া সম্ভব নয় বলেও আজ জানালেন মিখেইল। পাশাপাশি মুম্বই গেলে তাঁকে খুন করাও হতে পারে বলে অভিযোগ মিখেইলের।
ওয়েব ডেস্ক: গতকাল তার বয়ানেই চাঞ্চল্যকর মোড় শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে। এরপরেই সামনে আসে একের পর এক নাটকীয় তথ্য। এবার নিজেরি প্রাণহানির আশঙ্কাপ্রকাশ মিখেইল বোরার। দাদুদিদিমা অসুস্থ তাই পুলিসি তলবে এখনই গুয়াহাটি ছেড়ে মুম্বই যাওয়া সম্ভব নয় বলেও আজ জানালেন মিখেইল। পাশাপাশি মুম্বই গেলে তাঁকে খুন করাও হতে পারে বলে অভিযোগ মিখেইলের।
চলন্ত গাড়ির মধ্যে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় শিনাকে। খুন করেছিলেন ইন্দ্রাণী মুখার্জি এবং তাঁর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না। চাঞ্চল্যকর এই স্বীকারোক্তি শিনার মা ইন্দ্রাণীর। খুনের পর রায়গড়ের একটি গ্রামে দেহ ফেলে তা জ্বালিয়ে দেয় ইন্দ্রাণী -সঞ্জীব। ঘটনাস্থল চিহ্নিত করেছে ইন্দ্রাণীর গাড়ির চালক শ্যাম রাই।
শিনা হত্যা রহস্য-
শ্বাসরোধ করে গাড়িতে খুন-
জ্বালিয়ে দেওয়া হয় দেহ-
তিন বছর পর প্রকাশ্যে খুনের ঘটনা-
কিভাবে খুন করা হয় শিনা বোরাকে? মুম্বই পুলিসের জেরায় উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিন বছর আগের এই খুনের ঘটনা প্রথমে ফাঁস করে শ্যাম রাই। ইন্দ্রাণীর মুখার্জির গাড়ির চালক। গত একুশে অগাস্ট অস্ত্র আইনে গ্রেফতার করা হয় শ্যাম রাইকে। জেরার মাঝে তিন বছর আগের শিনাকে খুনের ঘটনা কবুল করে সে। জিজ্ঞাসাবাদের পর বোন শিনাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হন ইন্দ্রাণী।
এরপরই নাটকীয় মোড় নেয় ঘটনা। পুলিসি জেরায় ইন্দ্রাণী কবুল করেন শিনা তাঁর বোন নয়, মেয়ে।
২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল।
শিনাকে মুম্বইয়ের বান্দ্রার একটি কলেজের সামনে থেকে নিজের গাড়িতে তোলেন ইন্দ্রাণী। গাড়িতে ছিলেন ইন্দ্রাণীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না এবং চালক শ্যাম রাই। গাড়ি রওনা দেয় রায়গড়ের উদ্দেশে। পথে গাড়ির মধ্যেই শিনাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। খুন করেন ইন্দ্রাণী এবং সঞ্জীব। এরপর দেহ নিয়ে ঘণ্টা দুয়েকে রাস্তায় ঘোরেন তারা। শেষ পর্যন্ত রায়গড়ের পেন গ্রামে দেহ ফেলে পেট্রোল দিয়ে জালিয়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার ইন্দ্রাণীর গাড়ির চালক শ্যাম রাইকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় মুম্বই পুলিস। শ্যাম রাই যে জায়গাটি চিহ্নিত করেছে, সেখান থেকেই ২০১২ সালের ২৩ মে, অর্থাত্, শিনা খুনের মাসখানেক বাদে,উদ্ধার হয়েছিল দেহাংশ। স্থানীয় পুলিস একটি খুনের মামলা রুজু করে। তবে সেই ঘটনার তদন্ত আর এগোয়নি। তিন বছর পর শ্যাম রাইকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে ক্রমশ সামনে আসে পুরো ঘটনা।