নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোট মিটতেই স্বমহিমায় ফিরল শিবসেনা। আবারও তারা কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগল। সোমবার উদ্ধব ঠাকরের দলের মুখপত্র সামনায় কেন্দ্রের মোদী সরকারকে আক্রমণ করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এবারের বিষয় বেকারত্ব ও আর্থিক বৃদ্ধি না হওয়া। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবিলম্বে পদক্ষেপ করা উচিত বলেই মত শিবসেনার। আর সেকথাই তারা লিখেছে তাদের মুখপত্রে। তাদের মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মসংস্থান তৈরির দিকে জোর দেওয়া উচিত।


আরও পড়ুন: আরও ৫ বছর দোভালেই ভরসা মোদী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে পেলেন ক্যাবিনেট পদ মর্যাদা-ও


সোমবার সামনায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি ও শিল্পস্থাপনের ব্যর্থতাই বর্তমান মোদী সরকারের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে গত পাঁচবছরে যে মোদী সরকার দু'কোটি কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্যর্থ, তাও ওই প্রতিবেদনে স্পষ্ট করা হয়েছে।


আর এই আক্রমণ করতে গিয়ে সামনায় কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্যের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ওই তথ্য অনুযায়ী, গত ৪৫ বছরের মধ্যে দেশে বেকারত্বের হার রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। ওই তথ্য লোকসভার নির্বাচনের সময়ই সামনে এসেছিল। কিন্তু তখন বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকার তা স্বীকার করেনি।


আরও পড়ুন: রাজধানীর সরকারি বাস-মেট্রোয় বিনা টিকিটেই যাতায়াত করতে পারবেন মহিলারা, ঘোষণা কেজরির


বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সঙ্গেই শপথ নেন মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা। তার পর শুক্রবার বসে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক। সেই বৈঠকের পরই পরিসংখ্যান বিভাগের বেকারত্বের তথ্যকে মেনে নেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে।


গোড়ায় বিজেপিকে আক্রমণ করলেও এ নিয়ে মোদীর দলকে সরাসরি দায়ী করা যায় না বলেও সামনার ওই প্রতিবেদনে সাফাই দেওয়া হয়েছে। আর এই সাফাই দিতে গিয়ে উদাহরণ হিসেবে টানা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ির বক্তব্যকে।


আরও পড়ুন: চাপের মুখে শিক্ষানীতির খসড়ায় বদলের ভাবনা মোদী সরকারের


নিতিন গড়কড়ির মতে, বেকারত্বের দায় বিজেপির উপর চাপানো যায় না। ইউপিএ জমানায় কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেই এই অবস্থা বলে দাবি করেছিলেন নিতিন। সেকথাই লেখা হয়েছে শিবসেনার মুখপত্রে।


শিবসেনা বিজেপির সবচেয়ে পুরনো শরিক দল। এনডিএ-র শুরুর প্রথম দিন থেকেই শিবসেনা বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু গত পাঁচ বছরে দুই দলের মধ্যে একাধিকবার মনোমালিন্য তৈরি হয়। সামনাকে হাতিয়ার করে বারবার বিজেপির সমালোচনা করা হয়েছে শিবসেনার তরফে।


আরও পড়ুন: রবার্ট বঢরাকে ছয় সপ্তাহের জন্য বিদেশযাত্রার অনুমতি আদালতের


তবে নির্বাচনের সময় দুই দলের তরফে সমঝোতা করে নেওয়া হয়। তারা একসঙ্গেই নির্বাচনে লড়ে। কিন্তু ভোট মিটতেই ফের ফাটল স্পষ্ট হল বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে।