Shiv Sena Symbol: শিবসেনা তুমি কার? গভীর সংকটে উদ্ধব ঠাকরে, হাতে সময় মাত্র ১৫ দিন
২০১৮ সালে, উদ্ধব ঠাকরে শিবসেনার দলীয় প্রধান নির্বাচিত হন। নেতা নির্বাচিত হন একনাথ শিন্ডে। বিধানসভায় সরকার গঠনের পরেও একনাথ শিন্ডেকে দলনেতা নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু বর্তমানে শিবসেনা বিভক্ত হওয়ায় শিবসেনার নির্বাচনী প্রতীক কার সেইনিয়ে শুরু হয়েছে কোন্দল। কে আসল আইনগত হুইপ সেই নিয়েও শুরু হয়েছে সমস্যা। এই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিবসেনা দলের প্রধান এবং মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সমস্যা বাড়ছে প্রতিদিন। তাঁকে আবার একটি বড় ধাক্কা দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। ঠাকরেকে চার সপ্তাহের বদলে মাত্র পনের দিন সময় দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সামনে তার বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য। ফলত উদ্ধব ঠাকরের কাছে সব সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সময় আছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে এই তথ্য জানান হয়েছে। ফলত মনে করা হচ্ছে উদ্ধব ঠাকরের সমস্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল। শিবসেনার প্রতীক কার, তা নিয়ে বিরোধ এখন নির্বাচন কমিশনে পৌঁছেছে। এছাড়াও, এই বিরোধ বর্তমানে বিচারাধিন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কে জিতবে এই যুদ্ধে সেই দিকে নজর সারা দেশের মানুষের।
যেহেতু এই যুদ্ধ বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, তাই ঠাকরে অনুরোধ করেছেন যে সুপ্রিম কোর্টের রায় না আসা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন যেন শিবসেনার প্রতীক নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নেয়। শিবসেনা নথিগুলি ফের জমা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চার সপ্তাহ সময় চেয়েছিল। যদিও নির্বাচন কমিশন শিবসেনার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে শিবসেনাকে মাত্র দুই সপ্তাহ অর্থাৎ পনের দিন সময় দিয়েছে।
এবার শিবসেনাকে প্রমাণ করতে হবে লোকসভা, বিধানসভা এবং শিবসেনার রাজনৈতিক দলের কাঠামোতে কার সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। একনাথ শিন্ডে বিদ্রোহ করে একটি নতুন সরকার গঠন করার পরে, নির্বাচন কমিশনে একটি চিঠি পাঠানো হয়। এই চিঠিতে বলা হয় যে তাঁর নেতৃত্বাধীন বিধায়কদের শিবসেনা হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এই চিঠিটি ১৯ জুলাই ২০২২-এ একনাথ শিন্ডে পাঠিয়েছিলেন। শিবসেনা তার বিরুদ্ধে একটি আবেদন জানায়।
আরও পড়ুন: মাঝ যমুনায় নৌকাডুবি, প্রায় ৪০ জনের মৃত্যুর শঙ্কা
২০১৮ সালে, উদ্ধব ঠাকরে শিবসেনার দলীয় প্রধান নির্বাচিত হন। নেতা নির্বাচিত হন একনাথ শিন্ডে। বিধানসভায় সরকার গঠনের পরেও একনাথ শিন্ডেকে দলনেতা নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু বর্তমানে শিবসেনা বিভক্ত হওয়ায় শিবসেনার নির্বাচনী প্রতীক কার সেইনিয়ে শুরু হয়েছে কোন্দল। কে আসল আইনগত হুইপ সেই নিয়েও শুরু হয়েছে সমস্যা। এই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এই বিতর্ক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ঠাকরে। এই বিরোধে তিনি একটি অথবা দুটি নয় মোট পাঁচটি আবেদন করেছেন। বর্তমানে এইসব আবেদনের শুনানি চলছে। এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ২২ অগস্ট হবে বলে জানা গিয়েছে। তাই আগামী ২২ এবং ২৩ অগস্ট এই দুটি তারিখ উদ্ধব ঠাকরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।