দাক্ষিণাত্যের আবেগে শান সিদ্দারামাইয়ার, পাশে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রীদের

র্তমানে ১৯৭১ সালের জনগণনার ভিত্তিতে অর্থ বণ্টন করে কেন্দ্র। তা বদলে ২০১১ সালের ভিত্তিতে করার প্রস্তাব মোদী সরকারের। বিরোধিতায় সরব দক্ষিণের রাজ্যগুলি।  

Updated By: Mar 23, 2018, 03:40 PM IST
দাক্ষিণাত্যের আবেগে শান সিদ্দারামাইয়ার, পাশে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রীদের

নিজস্ব প্রতিবেদন: দাক্ষিণাত্যের আবেগে সওয়ার হয়ে বিজেপির বিজয়রথ ঠেকাতে চাইছে কংগ্রেস। আর তা আরও একবার স্পষ্ট করলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। মোদীর প্রস্তাবের বিরোধিতা করে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিচ্ছিন্নতাবাদী আবেগ। 

সম্প্রতি ২০১১ সালের আদমসুমারি অনুযায়ী রাজ্যগুলিকে আর্থিক সুবিধা বণ্টনের সুপারিশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বর্তমানে ১৯৭১ সালের জনগণনার ভিত্তিতে অর্থ বণ্টিত হয়। মোদীর এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে শুক্রবার সকালে টুইটারে সিদ্দারামাইয়া লেখেন,''১৯৭১ সালের পরিবর্তে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনকে ২০১১ সালের ভিত্তিতে কর বণ্টনের প্রস্তাব দিয়েছে মোদী সরকার। এই প্রস্তাব দক্ষিণের স্বার্থের পরিপন্থী। এটা আটকাতে হবে।'' কেন্দ্রকে রুখতে তামিলনাড়ু, কেরল, তেলেঙ্গানা ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীদের পাশে চেয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী।    

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৭১ সালের পর থেকে জনসংখ্যায় লাগাম টানতে বেশ সফল দক্ষিণের রাজ্যগুলি। সেই অনুপাতে লাগামছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে উত্তর ও পূর্বের রাজ্যগুলিতে। ফলে নতুন নিক্তিতে অর্থ বণ্টন হলে কমবে দাক্ষিণাত্যের প্রাপ্য। ফলে এই প্রস্তাবের বিরোধিতায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তারা। এরই মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ রাজ্যের স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে এনডিএ ছেড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। 

উত্তরের রাজ্যগুলির খরচ দাক্ষিণাত্য বহন করছে বলে মন্তব্য করে গত সপ্তাহেই বিতর্কে জড়িয়েছেন সিদ্দারামাইয়া। অর্থের অসম বণ্টন নিয়ে ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন ডিএমকে নেতা এমকে স্টালিন। পৃথক দ্রাবিড় রাষ্ট্রের দাবির পাশে আছেন বলেও জানিয়েছিলেন কংগ্রেসের শরিক দলের এই নেতা। 

আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশে নিলামে ২২ হাজার টাকায় তরুণীকে বিক্রি!

রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০১৯ সালের লোকসভা ও আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ঠেকাতে পরকল্পিতভাবেই দাক্ষিণাত্যে দ্রাবিড় আবেগের রাজনীতি তুঙ্গে  তুলতে চাইছে বিরোধীরা। গোবলয়ের দল উত্তরের প্রতিই বেশি সহৃদয়, তা প্রচার করতে পারলে নির্বাচনে ফায়দা তোলা যাবে বলে মত অনেকের। সেজন্য বিচ্ছিন্নতাবাদে মদত দিতেও আপত্তি নেই তাঁদের। 

আরও পড়ুন- রাজ্যসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ঘিরে টানটান উত্তেজনা লখনউয়ে

.