গোষ্ঠীদ্বন্ধে জেরবার বিজেপি, প্রতি পদে দলীয় সিদ্ধান্ত বদল, নয়া সংযোজন স্লোগান বিতর্ক

দিল্লির মসনদে পরিবর্তন আসবে কীনা জানা নেই, কিন্তু পরিবর্তনের ধাক্কায় আপাতত বেসামাল বিজেপি শিবির। প্রার্থী থেকে স্লোগান গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ক্ষণে ক্ষণে বদলাতে হচ্ছে সিদ্ধান্ত। জনমানসে মুখ পুড়ছে দলের।

Updated By: Mar 24, 2014, 08:03 PM IST

দিল্লির মসনদে পরিবর্তন আসবে কীনা জানা নেই, কিন্তু পরিবর্তনের ধাক্কায় আপাতত বেসামাল বিজেপি শিবির। প্রার্থী থেকে স্লোগান গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ক্ষণে ক্ষণে বদলাতে হচ্ছে সিদ্ধান্ত। জনমানসে মুখ পুড়ছে দলের।

প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত বিজেপি শিবির। আর সেই কোন্দঁল সামাল দিতে প্রতি পদে বদলাতে হচ্ছে দলের সিদ্ধান্ত। পছন্দের কেন্দ্র বারমেড়ে টিকিট না মেলায় ইতিমধ্যেই নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা জসবন্ত সিং। একইপথে হাঁটছেন লালমুনি চৌবে সহ একাধিক নেতা। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ এতটাই তীব্র যে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে সভাপতি রাজনাথ সিংকে। তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান দলীয় কর্মী সমর্থকরা। বিক্ষোভের আঁচ দলের শীর্ষস্তরেও। দলের এক অংশের নেতাদের আপত্তিতে অন্তর্ভুক্তির কয়েকঘণ্টার মধ্যে বাতিল করে দিতে হল রামসেনা প্রধান প্রমোদ মুতালিকের সদস্যপদ।

২০০৯ সালে ম্যাঙ্গালোরের একটি পাবে ভাঙচুর চালিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন মুতালিক। রবিবারই কট্টরপন্থী নেতাকে দলের সদস্য করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু,মুতালিককে দলে নেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বেশকয়েকজন বিজেপি নেতা। এরপরই তাঁর সদস্যপদ বাতিল করার কথা ঘোষণা করেন রাজনাথ সিং।

এখানেই শেষ নয়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বারে বারে বদলে যাচ্ছে স্লোগানও। মাস কয়েক ধরেই হর হর মোদী স্লোগান তুলে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে ভোট প্রচার চালাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। কিন্তু, এমন স্লোগান হিন্দুত্ব সেন্টিমেন্টে আঘাত করছে বলে আপত্তি ওঠে দলের ভিতরেই। আপত্তি জানান হিন্দু নেতা শংকরাচার্যও। এরপরই স্লোগানে বদল। আপাতত এই স্লোগান থেকে সরে আসাই শ্রেয় মনে করছে বিজেপি শিবির।

এখানেই শেষ নয়। মোদী কেন্দ্রিক স্লোগান তুলে অলআউট প্রচারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দল। ঠিক হয় স্লোগান হবে আব কী বার মোদী সরকার। টুইট করে সেকথা জানিয়েও দেন বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং। কিন্তু ফের ডিগবাজি। প্রচার পুরোপুরি মোদী কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে বলে আপত্তি ওঠে দলের অভ্যন্তরে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদল। আব কী বার মোদী সরকারের বদলে হয় আব কী বার ভাজপা সরকার। যদিও, প্রকাশ্যে গোষ্ঠীকোন্দলের কথা মানতে নারাজ বিজেপি শিবির।

সবমিলিয়ে দলীয় কোন্দলের জেরে বারে বারে বদলাতে হচ্ছে দলের সিদ্ধান্ত। আর তার জেরে ক্ষুন্ন হচ্ছে দলের ভাবমূর্তি। ভোটের ঠিক আগে যা চিন্তার ভাঁজ ফেলছে বিজেপি শীর্ষনেতৃত্বের কপালে।

.