নিজস্ব প্রতিবেদন: গত বুধবার থেকে  ফের অনশনে বসেছেন সমাজকর্মী আন্না হাজারে। অনশন মঞ্চ থেকেই বর্ষীয়ান নেতার বার্তা, কেন্দ্র যদি প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে, তাহলে পদ্মভূষণ সম্মান ফিরিয়ে দেবেন তিনি। মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার রালেগান সিদ্ধি গ্রামে আমরণ অনশন শুরু করেন আন্না হাজারে। এই গ্রামেই বড় হয়েছেন প্রবীণ গান্ধীবাদী নেতা আন্না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- এ বার অসুর অবতারে প্রিয়ঙ্কা! কাঠগড়ায় বিজেপি


মানুষের বিশ্বাসের অমর্যদা করছে মোদী সরকার বলে রবিবার দাবি করেন ৮১ বছর বয়সী আন্না হাজারে। আন্নার এই অনশনকে সমর্থন করেছে বিজেপির শরিক শিবেসনাও। উদ্ধব ঠাকরের দল জানিয়েছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমাজতন্ত্রী নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের মতোই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন  আন্না হাজারে। কেন্দ্রে লোকপাল এবং রাজ্যে লোকায়ুক্ত দ্রুত নিয়োগের ফের দাবি জানিয়েছেন আন্না। পাশাপাশি কৃষি সমস্যা মেটাতে স্বামীনাথন কমিশনের রিপোর্ট প্রয়োগ ও নির্বাচনী সংস্কারের দাবি তোলেন তিনি। আন্না হাজারে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার জন্য তাঁকে ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি 'গুরুর' মঞ্চ ব্যবহার করে 'শিষ্য' অরবিন্দ কেজরিবাল মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে বলে দাবি আন্নার।


আরও পড়ুন- আজই সিবিআই অধিকর্তার পদে দায়িত্ব নিলেন ঋষি কুমার শুক্লা


গত ৫ দিনে আন্নার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এ ক’দিনে ৩.৮ কিলোগ্রাম ওজন কমেছে তাঁর। রক্তচাপ, সুগার, ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ এক ধাক্কায় অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি চিকিত্সকদের। হাজারের অনশন সমর্থনে বিভিন্ন জেলা থেকে অংশগ্রহণ করেছেন প্রায় ৫ হাজার কৃষক। উল্লেখ্য, আন্নার সৌজন্যেই ইউপিএ সরকারের আমলে সংসদে জন লোকপাল বিল পাশে ত্বরাণ্বিত হয়। ২০১১ সালে ৫ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত আমরণ অনশন শুরু করেন আন্না হাজারে। চাপে পড়ে ২০১১ সালে লোকপাল এবং লোকায়ুক্ত বিল আনে মনমোহন সরকার। প্রায় ১০ ঘণ্টা আলোচনার পর বিল পাশ হয় লোকসভায়। তবে, বিরোধীরা ওই বিলের নানা দুর্বলতা তুলে ধরায় রাজ্যসভায় আটকে যায়। মোদী ক্ষমতায় আসার পরও এখন পর্যন্ত ইতিবাচক দিশা দেখা যায়নি লোকপাল নিয়োগের।