প্রমাণের অভাব, সোহরাবউদ্দিন এনকাউন্টার মামলায় বেকসুর খালাস ২২ অভিযুক্ত
ওই মামলায় ২১০ জন সাক্ষীকে জেরা করা হয়। এদের মধ্যে ৯২ জন বিরূপ হয়ে যান
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপির মাথা থেকে বড়সড় বোঝা নামল। সোহরাবউদ্দিন সেখ এনকাউন্টার মামলায় অভিযুক্ত ২২ জনকেই নির্দোষ বলে ঘোষণা করল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। কারণ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন গুজরাট সরকারের একাধিক পুলিস আধিকারিক। এমনকি খোদ অমিত শাহও ছিলেন ওই মামলায় অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন-নগ্ন ছবি দেখিয়ে টানা ৪ বছর ধরে গৃহবধূকে ধর্ষণ পুরকর্মীর!
গুজরাট পুলিসের দাবি ছিল, ২০০৫ সালে এক এনকাউন্টারে মারা যায় সোহরাবউদ্দিন সেখ। সে ছিল লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। নরেন্দ্র মোদীকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল সে। অন্যদিকে সিবিআইয়ের দাবি, সোহরাবউদ্দিন একজন গ্যাংস্টার। সোহরাবউদ্দিন, তাঁর স্ত্রী ও সোহরাবের সঙ্গী তুলসীরাম প্রজাপতিকে অপহরণ করে খুন করে গুজরাট এটিএস। এক্ষেত্রে একটি ষড়য়ন্ত্রের অভিযোগ উঠছিল গুজরাট এটিএসের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ প্রমাণ হয়নি।
প্রসঙ্গত সোহরাবউদ্দিন সেখ ও তার স্ত্রী কাউসার বি-কে হায়দরাবাদ থেকে মহারাষ্ট্রের সাংলি যাওযার পথে অপহরণ করে গুজরাট এটিএস। পরে গান্ধী নগরের অদূরে একটি জায়গায় সোহরাবউদ্দিনকে খুন করা হয়। পরে কওসার বি-কে ধর্ষণ করে খুন করা অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে ওই এলকাউন্টারের প্রত্যক্ষদর্শী ও সোহরাবউদ্দিনের সঙ্গী তুলসীরাম প্রজাপতি মারা যায় গুজরাটের বংশকাঁথা জেলায় ছাপরি গ্রামে। তাকেও ২০০৬ সালে এনকাউন্টারে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের।
২০১৩ সালে ওই মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয় অমিত শাহ ও অন্যান ১৮ জনকে। পরে ওই মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হয় অমিত শাহকে। ২০১২ সালে গুজরাট থেকে মামলাটিকে সরিয়ে নেওয়া হয় মুম্বইয়ে। ওই মামলায় ২১০ জন সাক্ষীকে জেরা করা হয়। এদের মধ্যে ৯২ জন বিরূপ হয়ে যান।
আরও পড়ুন-রুমাল ধরিয়ে দিল 'খুনি' স্ত্রীকে! খড়দা খুনে চাঞ্চল্যকর মোড়
শুক্রবার বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক এস জে শর্মা বলেন, সিবিআইয়ের কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত কোনও প্রমাণ নেই। আদালত সোহরাবউদ্দিনের দেহে বুলেট ক্ষতের কথা মেনে নেয়।
সোহরাবউদ্দিনের পরিবারের উদ্দেশ্য বিচারক শর্মা বলেন, সোহরাব উদ্দিনের পরিবারের প্রতি আদালতের সমবেদনা রয়েছে। তবে সাক্ষীরা যদি বিরূপ হয়ে যায় তাহলে আদালত এক্ষেত্রে আদালত অসহায়।