সোনি সোরির উপর অত্যাচার করেছে যৌথবাহিনী, জানাল মেডিক্যাল রিপোর্ট
কিষেণজির ভুয়ো এনকাউন্টারের অভিযোগে যৌথবাহিনীর বিরুদ্ধে যখন মানবাধিকার সংগঠনগুলি সরব, সেই সময় ছত্তিসগড়ে নারকীয় অত্যাচারের অভিযোগে কাঠগড়ায় সেই যৌথবাহিনীই।
কিষেণজির ভুয়ো এনকাউন্টারের অভিযোগে যৌথবাহিনীর বিরুদ্ধে যখন মানবাধিকার সংগঠনগুলি সরব, সেই সময় ছত্তিসগড়ে নারকীয় অত্যাচারের অভিযোগে কাঠগড়ায় সেই যৌথবাহিনীই।
কলকাতার এনআরএস হাসপাতালের গোপন রিপোর্টেই স্পষ্ট, মাওবাদী সন্দেহে ধৃত আদিবাসী শিক্ষিকা সোনি সোরির যৌনাঙ্গ এবং মলদ্বারে পাথর ঢুকিয়ে অত্যাচার করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে পেশ হওয়া এই রিপোর্ট আরো একবার উসকে দিল রাষ্ট্রীয় দমনপীড়নের অভিযোগ।
মাওবাদী সন্দেহে গত ৪ অক্টোবর দিল্লিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সোনি সোরি। এরপর তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ছত্তিসগড় পুলিস। মানবাধিকার সংগঠনগুলি অভিযোগ করে, দান্তেওয়াড়া এবং জগদলপুরের জেলে নারকীয় অত্যাচার চলছে সোনি সোরির উপর।
গোপন এক চিঠিতে সোনি অভিযোগ করেন, দান্তেওয়াড়ার পুলিস সুপার অঙ্কিত গর্গের নেতৃত্বে ৮ অক্টোবর মধ্যরাতে একটানা অত্যাচার চলে তাঁর উপরে। তাঁকে বিবস্ত্র করে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়, চলে মারধর এবং যৌনাঙ্গ ও মলদ্বারে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় পাথর। এ নিয়ে মামলা হয় আদালতে। ছত্তিসগড়ের তিন- তিনটি হাসপাতালে পরীক্ষাও করানো হয় তাঁর। কিন্তু হাসপাতালের রিপোর্ট ক্লিনচিট দিয়ে দেয় প্রশাসনকে।
এর পর সুপ্রিম কোর্ট ছত্তিসগড়ের বাইরে অন্য কোনো রাজ্যে সোনি সোরির শারীরিক পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেয়। সোনিকে ২৫ অক্টোবর ভর্তি করা হয় কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে। এর পর সুপ্রিম কোর্টে যে গোপন রিপোর্টে দেয় এনআরএস কর্তৃপক্ষ, তাতে অত্যাচারের তত্ত্বই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, সোনির যৌনাঙ্গে দুটি এবং মলদ্বারে একটি পাথর পাওয়া গিয়েছে। মেরুদণ্ডেও রয়েছে গভীর ক্ষত। চিহ্ন রয়েছে ইলেকট্রিক শকেরও। এ রাজ্যে কিষেণজির উপরে অত্যাচারের অভিযোগে যে ভাবে কাঠগড়ায় উঠেছে যৌথবাহিনীর নাম। এবার সেই অস্বস্তিই আরো বাড়িয়ে দিল এনআরএসের মেডিক্যাল রিপোর্ট।