Supreme Court: নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন সোনার পাথরবাটি, বিস্ফোরক 'সুপ্রিম' মন্তব্য

যেকোনও রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে যখনই যে দল ক্ষমতায় আসে তখনই তাঁদের একজন 'ইয়েস ম্যান'কে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকপদে আসীন করে। 'মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার নিয়োগে স্বচ্ছতা থাকতে হবে'। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আনা হোক 'সঠিক ব্যক্তি'কে, এদিন কেন্দ্রকে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। 

Updated By: Nov 23, 2022, 03:19 PM IST
Supreme Court: নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন সোনার পাথরবাটি, বিস্ফোরক 'সুপ্রিম' মন্তব্য
ফাইল ছবি

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বারবার 'স্বল্প মেয়াদে' মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ নিয়েও চলতি ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে সমালোচনার মুখে পড়তে হল কেন্দ্রীয় সরকারকে। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে ‘সেরা এবং সঠিক ব্যক্তি’কে নিয়োগই লক্ষ্য হওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংস্কার আনার দাবি জানিয়ে পিটিশন জমা পড়ে দেশের শীর্ষ আদালতে। সেই পিটিশনের শুনানি করে বিচারপতি কেএম জোসেফের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ।

আরও পড়ুন, Sextortion in Pune: কলেজপড়ুয়ার স্মার্টফোনে এল এক তরুণীর উত্তেজক ছবি! তারপর যা ঘটল...

এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি কে এম জোসেফ বলেন, "মু্খ্য নির্বাচন কমিশনার এবং দুই নির্বাচন কমিশনারের ভঙ্গুর কাঁধে বিশাল ক্ষমতা দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে। এই পদে কোনও কঠিন চরিত্রের মানুষ, সেরা মানুষকে বসানো প্রয়োজন।" আদালতের তরফে এও বলা হয়, ২০০৪ সালের পর থেকে একজনও মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার ৬ বছরের পূর্ণ মেয়াদ ছিলেন না। ইউপিএ সরকারের সময়ে ১০ বছরে ৬ জন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার এসেছেন-গিয়েছেন। অন্যদিকে, এনডিএ-র ৮ বছরে ৮ জনকে নিয়োগ হয়েছে।  

এরপরই উঠে আসে টিএন সেশানের নাম। শীর্ষ আদালত জানায়, ১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে ছিলেন সেশান। যিনি তাঁর কার্যকালে একাধিক নির্বাচনী সংস্কার করে গিয়েছেন। এমন ব্যক্তিই এমন প্রয়োজন। পাশাপাশি বিচারপতিদের সাংবিধানিক বেঞ্চ বর্তমান পরিস্থিতিকে 'উদ্বেগজনক'ও বলেছেন। বিচারপতি কে এম জোসেফের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, যেকোনও রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে যখনই যে দল ক্ষমতায় আসে তখনই তাঁদের একজন 'ইয়েস ম্যান'কে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকপদে আসীন করে।

এদিন আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় এভাবে নিয়োগ কোনও সঠিক পদ্ধতি হতে পারে না। নিয়োগে স্বচ্ছ্বতা থাকতে হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে এও বলা হয়, সবসময় 'সিনিয়রিটির' ভিত্তিতেই এই কাজ করতে হবে। সাংবিধানিক বেঞ্চে থাকা বিচারপতি অজয় রাস্তোগি, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু, বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং বিচারপতি সি টি রবিকুমার দাবি করেন, “দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পদ্ধতি এমন হওয়া উচিত যাতে করে সেরা মানুষটাই এই পদে আসিন হয়।” এদিনের শুনানিতে আদালত বিশেষভাবে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে একটি "স্বাধীন, নিরপেক্ষ ব্যবস্থা"র কথাও উল্লেখ করে।

আরও পড়ুন, Uttar Pradesh: অপরাধীদের বিরুদ্ধে যোগী সরকারের বড় সাফল্য! এনকাউন্টারের তথ্য প্রকাশ করল পুলিস

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.