নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমে নাগরিকপঞ্জী থেকে বাদপড়া মানুষজনদের জন্য সুখবর। নাগরিকপঞ্জীতে নাম তোলা ও কোনওরকম আপত্তি করার সময়সীমা বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নাগরিকপঞ্জীতে নাম লেখানো বা আপত্তি করা যাবে। পাশাপাশি নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য অতিরক্ত ৫টি নথি জমা দেওয়া যাবে। আগে এই সংখ্যা ছিল ১০।


আরও পড়ুন-দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা বিমানে ট্যাঙ্কারের ধাক্কা, যাত্রাভঙ্গ ১০৩ যাত


বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ ওই রায় দেয়। পাশাপাশি এনআরসির কোঅর্ডিনেটর প্রতীক হাজারিকা যে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছিলেন তাও উড়িয়ে দেওয়া হয়।


উল্লেখ্য, যে ৫টি নথি প্রতীক হাজারিক নাগরিকপঞ্জীর প্রামাণ্য হিসেবে আপত্তি করেছিলেন তার মধ্যে ছিল ১৯৫১ সালের নাগরিকপঞ্জী, ১৯৭১ ২৪ মার্চ পর্যন্ত ভোটার লিস্ট, নাগরিক সার্টিফিকেট, রেফিউজি রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ও ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত ইস্যু করা রেশন কার্ড।


প্রসঙ্গত, অসমে নাগিরকপঞ্জী তৈরির পর সেখানে বাদ পড়েছেন ৪০ লাখ মানুষ। ফলে রাজ্যজুড়ে এক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গত ৩০ জুলাই নাগরিকপঞ্জীর ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়।


আরও পড়ুন-সঙ্ঘকে নিষিদ্ধ করেছিলেন সর্দার প্যাটেল, সেই বল্লভভাইয়ের বন্দনায় মোদী! কেন?


নাগরিকপঞ্জীতে নাম তোলার ক্ষেত্রে যে দশটি নথিকে প্রামাণ্য হিসেবে ধরা হয়েছিল তার মধ্যে ছিল জমির নথি, বসবাসের নথি, পাসপোর্ট, এলআইসির পলিসি সার্টিফিকেট, সরকারি কোনও লাইসেন্স, চাকরির নথি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, জন্ম সার্টিফিকেট, কোনও বোর্ড বা বিশ্বিবিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট।


২০১৫ সালের মে মাসে নাগরিকপঞ্জী তৈরির কাজ শুরু হয়। তালিকায় নাম তোলার জন্য জমা পড়ে ৬৮.২৭ পরিবারের ৬.৫ কোটি আবেদন।