পুরনো রায় মনে করিয়ে কুমারস্বামীদের ভর্তসনা সুপ্রিম কোর্টের, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামিকালই
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর আইনজীবী রাজীব ধবন এ দিন বলেন, স্পিকার কী সিদ্ধান্ত নেবেন, এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না সুপ্রিম কোর্ট
![পুরনো রায় মনে করিয়ে কুমারস্বামীদের ভর্তসনা সুপ্রিম কোর্টের, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামিকালই পুরনো রায় মনে করিয়ে কুমারস্বামীদের ভর্তসনা সুপ্রিম কোর্টের, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামিকালই](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/07/16/201069-supremecourt.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামিকাল রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। আজ আদালতে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের আইনজীবী মুকুল রোহতগির দাবি, এখন সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার। কিন্তু বাঁচানোর চেষ্টা করছেন স্পিকার। যদিও আগামিকালের মধ্যে বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান স্পিকার রমেশ কুমার। দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে এদিন বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ রায় সংরক্ষিত রাখে। আগামিকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ রায় দেবে ওই বেঞ্চ।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর আইনজীবী রাজীব ধবন এ দিন বলেন, স্পিকার কী সিদ্ধান্ত নেবেন, এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না সুপ্রিম কোর্ট। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই আদালতে তা বিচারসাপেক্ষ। পালটা রোহতগি জানান, বিধায়কদের অধিকার আছে ইস্তফা দেওয়ার। কিন্তু তা গ্রহণ না করে স্পিকার পক্ষপাত করছেন। আদৌ স্পিকারকে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার অধিকার সুপ্রিম কোর্টের আছে কিনা এ বিষয়ে আইনজীবী অভিষেক মনুসিঙ্ঘভির সঙ্গে প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের আলোচনা হয়। রমেশ কুমারের আইনজীবী মনুসিঙ্ঘভি বলেন, স্পিকারকে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার এক্তিয়ার নেই আদালতের। গত বছর আস্থা ভোটের জন্য কংগ্রেস-জেডিএস সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হলে, আদালতই ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেয় আস্থা ভোট করানোর জন্য। ইয়েদুরাপ্পা সমর্থন জোগাড় করতে পারেননি। সহজেই সরকার গড়ে কংগ্রেস-জেডিএস।
আরও পড়ুন- বৃহন্নলরা লিঙ্গ পরিবর্তন করলে পাবেন এককালীন ১.৫ লক্ষ টাকা, ঘোষণা নীতীশ সরকারের
আজ সুপ্রিম কোর্টের কটাক্ষ, সে দিন কেন কংগ্রেস-জেডিএস আদলতের হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি? তাদের সমর্থনে গিয়েছিল বলেই প্রশ্ন তোলা হয়নি। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের প্রশ্ন, স্পিকার কেন বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেননি? কোর্টকে আরও সময় চাই বলে কী বলতে চাইছেন স্পিকার? আইনজীবী অভিষেক জানান, বিধায়কদের ইস্তফাপত্র ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় গৃহীত হয়নি।
বিক্ষুব্ধ বিধায়কের ইস্তফাপত্র স্পিকার গ্রহণ করলে, সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার। শরিক-সহ তাদের ১১৮টি বিধায়কের মধ্যে ১৮ জনের (এর মধ্যে ২ জন নির্দল বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। এবং তাঁরা বিজেপিকে সমর্থন করবেন বলে জানান।) ইস্তফা গৃহীত হয়, তাহলে ১০০ সংখ্যা দাঁড়াবে জোট সরকারের। বিজেপির হাতে ১০৫ বিধায়ক রয়েছে। সঙ্গে দুই নির্দল বিধায়কের সমর্থন মিলতে পারে। সহজই ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম করতে পারবে বিজেপি।