এক নজরে বাজেট ২০১৩
সংসদে ৮২তম বাজেট পেশ করছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের এটাই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। এর আগে ২০০৭-এ সাধারণ বাজেট পেশ করেছিলেন পি চিদম্বরম। সেবার কৃষি ঋণ মকুবের মতো চমক ছিল তাঁর বাজেটে। নিম্নমুখী বৃদ্ধির হারে লাগাম পরানোই এখন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সামনে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ গত আর্থিক বছরে বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছে, যা গত দশ বছরের মধ্যে নিম্নতম।
সাধারণ নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই গতকাল সংসদে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। এক দিকে আর্থিক বৃদ্ধির হারে গতিসঞ্চার, অন্যদিকে ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখার চাপ, এই দুইয়ের টানাপোড়েনে এবারের বাজেটে বড়সড় কোনও চমক দিতে পারলেন না অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। আয়কর কাঠামোয় কোনও রদবদল ঘটালেন না অর্থমন্ত্রী। শুধুমাত্র প্রবীণদের ক্ষেত্রে আয়করে ছাড়ের সীমা ২ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে আড়াই লক্ষ টাকা করা হয়েছে। বাজেটে করের বোঝা চেপেছে উচ্চবিত্তদের ওপর। আয়ের ওপর তাঁদের ১০ শতাংশ সারচার্জ দিতে হবে। সব আয়কর দাতাদের এ বছরও ৩ শতাংশ হারে শিক্ষা সেস দিতে হবে। অর্থমন্ত্রী বাজেটে বরাদ্দ বাড়িয়েছেন স্বাস্থ্য, জল সরবরাহ, তফসিলি জাতি-উপজাতি, আদিবাসী উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা খাতে। সাধারণ মানুষের মন রাখতে সামাজিক ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। যদিও, তা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট দিশা দেখাতে পারেননি। অর্থনৈতিক বিকাশের গতি ফেরাতে রাজস্ব ঘাটতি কমানোর ওপরও জোর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। একদিকে, ভোটমুখী রাজনীতির চাপ, অন্যদিকে, অর্থনীতিকে কঠিন শৃঙ্খলায় বাঁধার চেষ্টা - দুয়ের মিশেলে ভারসাম্যের বাজেট পেশেরই চেষ্টা করেন তিনি।
হাইলাইটস
দেশের অর্থনীতিকে সঙ্কটমুক্ত করতে সকলের সাহায্য প্রত্যাশা করি
বিশ্ব অর্থনীতির গতি ৩.৯ শতাংশ থেকে শ্লথ হয়ে হয়েছে ৩.২ শতাংশ
বিশ্বের প্রভাব পড়েছে ভারতেও
বৃদ্ধির হার সিএসওর হিসাবে ৫ শতাংশ, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসেবে ৫.৫ শতাংশ
তবে নিরাশ হওয়ার কারণ নেই
শুধুমাত্র চিন এবং ইন্দোনেশিয়ার বৃদ্ধির হার ভারতের তুলনায় বেশি
আগামী আর্থবর্ষে শুধুমাত্র চিন ভারতের তুলনাত বৃদ্ধির হারে এগিয়ে থাকবে
ভারতের বৃদ্ধির হার সম্ভাব্য ৮ শতাংশের থেকে কম
সামগ্রিক এবং দীর্ঘমেয়াদে কার্যকরী বৃদ্ধির পথে এগোতে হবে
দেশের বহুত্ববাদ এবং বৈচিত্রের কারণে অসম বণ্টনের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন
মহিলা, তফশীলি জাতি উপজাতি এবং ওবিসির অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রয়োজন
অর্থনৈতিক ক্ষেত্র তৈরি করে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন প্রয়োজন
কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ঘাটতি চিন্তার বিষয়
কয়লা, তেল ও সোনা আমদানির কারণে কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ঘাটতি বাড়ছে
কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ঘাটতি পূরণের জন্য ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন
কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ঘাটতি রুখতে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ, এফআইআই, ইসিবি প্রয়োজন
বৃধি বাড়ানো কোনও নতুন জিনিস নয়
বৃদ্ধি না হলে আর্থিক উন্নয়ন সম্ভব নয়
সামগ্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচক বাড়ানোয় বিশ্বাস করে ইউপিএ সরকার
বর্তমানে অর্থনৈতিক ক্ষেত্র সীমাবদ্ধ
বিদেশি বিনিয়োগের কোনও বিকল্প নেই
উন্নয়নকে গণতান্ত্রিক বৈধতা মেনে এবং দীর্ঘমেয়াদে কার্যকরী করতে হবে
সব দিক দিয়ে মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করতে হবে
আমরা মুদ্রাস্ফীতি কমাতে পেরেছি
সরকারি ব্যয়ের দিকে নজর দেওয়াই এই মুহূর্তে বুদ্ধিমানের কাজ
আমাদের সামনে এখন বিশাল রাজস্ব ঘাটতি, ফলে যুক্ত গ্রাহ্য ভাবে ব্যয় করা প্রয়োজন
প্রতিটি মন্ত্রককে যথেষ্ট তহবিল বরাদ্দ করা হবে
নতুন প্রজন্মকে সুযোগ করে দেওয়া বাজেটের লক্ষ্য
আনুমানিক ব্যয় ১৪৯০৯২৫ লক্ষ কোটি টাকা, রিভাইসড ১৪৩০৮২৫ লক্ষ কোটি টাকা
পরিকল্পিত ব্যয় আগের তুলনায় ২৯.৪ শতাংশ বাড়বে, সমস্ত প্রকল্পগুলির সম্পূর্ণ ব্যয়ভার গ্রহণ করা হবে
প্রতিটি প্রকল্প নির্ধারিত সময় সম্পন্ন করার দায় নির্দিষত মন্ত্রকের
তফশীলি জাতির সাব প্ল্যানে ৪১ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা
তফশীলি উপজাতির সাব প্ল্যানে ২৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা
সাব প্ল্যান থেকে টাকা অন্য খাতে টানা যাবে না
শিশু কল্যাণ খাতে ৭৭ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ
লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ
প্রতিবন্ধী কল্যাণ দফতর ১১০ কোটি টাকা পাবে
মৌলানা আজাদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ১৬০ কোটি টাকা পাবে
জন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ খাতে বরাদ্দ ৩৭ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা, যার মধ্যে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে বরাদ্দ ২১ হাজার ২৩৯ টাকা
ডাক্তারি সংক্রান্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ খাতে ৪ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা
আয়ুষ খাতে এক হাজার ৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ
এইমস ধাঁচে প্রতিষ্ঠানের জন্য এক হাজার ৬৫০ কোটি টাকা
এইচআরডি দফতরে ৬৫ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা
সর্ব শিক্ষা অভিযানে ২৭ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ
রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযানে বরাদ্দ ৩৯৮৩ কোটি টাকা
মিড-ডে মিলে বরাদ্দ ১৩ হাজার ২১৫ কোটি টাকা
শিশু যত্ন ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ১৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা
পরিষ্কার পানীয় জলের জন্য বরাদ্দ ১৫২৬০ কোটি টাকা
আর্সেনিক মুক্ত সহ জল শোধন খাতে ১৪০০ কোটি টাকা
এমএনজিআর, ইন্দিরা আবাস যোজনা এবং এনআরইজিএস খাতে ৮০ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা
PMGSY II-এর ফলে লাভবান হবে হরিয়ানা, পঞ্জাব, অন্ধ্র, কর্নাটক
জেএনএনইউআরএম-এ ১৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ
খাদ্যশস্য উৎপাদন ২৫০ মিলিয়ন টন বাড়বে
কৃষিজাত পন্যে ১৩৮৪০৩ টাকা আয় হয়েছে
কৃষি মন্ত্রকে ২৭০৪৯ টাকা বরাদ্দ
গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে নতুন প্রকল্প
কৃষি বৈচিত্রে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ
কৃষিক্ষেত্রে ৩.৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি
কৃষি খাতে তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ
পূর্ব ভারতে সবুজ বিপ্লব ব্যাপক সাফল্য এসেছে, এই রাজ্যগুলির জন্য এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ
সবুজ বিপ্লব হয়ে গিয়েছে এমন রাজ্যগুলির জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ
ওয়াটারশেড ম্যানাজমেন্টের জন্য ৫৩৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ