গেরুয়া বাহিনীর আক্রমণ, লেখা ছেড়ে ফেসবুকে নিজেকে মৃত ঘোষণা তামিল ঔপন্যাসিকের
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে নিজেকে মৃত বলে ঘোষণা করলেন তামিল লেখক পেরুমল মুরুগন। তিনি জানিয়েছেন তাঁর লেখক সত্ত্বার মৃত্যু ঘটেছে। বেঁচে আছেন শুধু শিক্ষক মুরুগন।
চেন্নাই: সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে নিজেকে মৃত বলে ঘোষণা করলেন তামিল লেখক পেরুমল মুরুগন। তিনি জানিয়েছেন তাঁর লেখক সত্ত্বার মৃত্যু ঘটেছে। বেঁচে আছেন শুধু শিক্ষক মুরুগন।
নিজের ফেসবুক পেজে এই বিখ্যাত লেখক লিখেছেন ''লেখক পেরুমল মুরুগন মৃত। তিনি ঈশ্বর নন, তাই পুনরজ্জীবনের সম্ভাবনা নেই। উনি অবতারের ধারণাতেও বিশ্বাস করেন না।''
কিন্তু কেন হঠাৎ নিজের লেখক সত্ত্বাকে মৃত ঘোষণা করলেন তিনি। বিতর্কটা শুরু তাঁর উপন্যাস 'মাদোরুভাগান' নিয়ে। সন্তানহীন এক দম্পতির সন্তানের আকঙ্খাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত এই উপন্যাসের পটভূমি। গল্পের প্রোটোগনিস্ট মহিলা সহমতেই এক অপরিচিতের সঙ্গে যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হয়ে মা হতে চান।
আর এতেই খেপেছে হিন্দুত্ববাদী নীতি পুলিস গেরুয়া বাহিনীগুলি। থিরুচেনগোডুতে মুরুগনের বাড়ির সামনে রীতিমত তাণ্ডব চালায় তারা। ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয় এই লেখককে। তুলে নেওয়া হয় তাঁর বই।
নিজের বাকস্বাধীনতার এই ধরণের অবমাননায় ক্ষিপ্ত লেখক জানিয়েছেন তিনি তাঁর সমস্ত বই বাজার থেকে তুলে নিতে চান। সেই জন্য প্রকাশকদের ক্ষতিপূরণ দিতেও প্রস্তুত তিনি।
নিজের পোস্টে তাঁর সমর্থক, সহমর্মী, ছাত্র ও বন্ধুদের দুঃসসময়ে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু হিন্দুত্ববাদীদের তাণ্ডবে এতটাই মর্মাহত এই লেখক যে, তিনি জানিয়েছেন তাঁকে যেন আর কোনও সাহিত্য সম্মেলনে ডাকা না হয়।
বাকস্বাধীনতা ও লেখকের লেখনীর প্রতি এই ধরণের আক্রমণে তামিলনাড়ু সরকারের সমালোচনায় সরব সারা দেশের বহু বিখ্যাত মানুষ।