টার্গেট ২০১৯, বিরোধী জোটের ভিত গড়তে দিল্লিতে মমতা
মঙ্গলবার সংসদে যাওয়ার কথা মমতার। সংসদে বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। মঙ্গলবার শরদ পওয়ারের বাড়িতে বিরোধী দলগুলির উপস্থিতিতে নৈশভোজে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী ঐক্যে শান দিতে দিল্লিতে মমতা। সোমবার রাত ৮টা নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছলেন মমতা। শরদ পওয়ারের ডাকা বৈঠকে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি সোনিয়া গান্ধীকেও দেখতে যাবেন তিনি। এই সফরেই দলের সভাপতি হওয়ার পর প্রথম মমতার মুখোমুখি হতে পারেন রাহুলও। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরে, বিরোধী জোটের নীল নকশা অনেকটাই তৈরি হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজেপির বিরুদ্ধে একজনই প্রার্থী। যেখানে যে দল শক্তিশালী তারা প্রার্থী দেবে। বাকিরা সমর্থন করবে। সব অ-বিজেপি দলকে এক ছাতার নীচে নিয়ে এসে গোটা দেশে একটিই ফর্মুলা কার্যকর করার পক্ষপাতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যেই সংসদের অধিবেশন চলাকালীন দিল্লিতে তিনি।
আরও পড়ুন- ‘সমঝোতা করলেই ব্যবস্থা’, রামনবমীতে পুলিসকেই চরম হুঁশিয়ারি মমতার
মঙ্গলবার সংসদে যাওয়ার কথা মমতার। সংসদে বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। মঙ্গলবার শরদ পওয়ারের বাড়িতে বিরোধী দলগুলির উপস্থিতিতে নৈশভোজে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নৈশভোজের ফাঁকে পওয়ারের সঙ্গে তাঁর একান্ত বৈঠকেরও সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন মমতা।
আরও পড়ুন- লকেটের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের
লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে দুটি জোট চায় না কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর যুক্তি, একদিকে কংগ্রেস জোট, অন্যদিকে তৃতীয় ফ্রন্ট হলে ভোট ভাগাভাগিতে সুবিধা হবে বিজেপিরই। কিন্তু ফেডারাল ফ্রন্টে কি কংগ্রেসও থাকবে?
আরও পড়ুন- কর্নাটক ভোটে কাজে আসবে না মোদী ম্যাজিক, সমীক্ষা সি-ফোরের
নবান্নে এসে চন্দ্রশেখর রাও জানিয়ে যান, অ-বিজেপি জোটে কংগ্রেসকে চান না তিনি। যদিও, সব সম্ভাবনা খোলা রাখার কথাই বলেন মমতা। সূত্রের খবর, দিল্লি সফরে অসুস্থতার পর সোনিয়া গান্ধীকে দেখতে যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা-সোনিয়া সাক্ষাতের সময় থাকতে পারেন রাহুলও। আবার সংসদেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন কংগ্রেস সভাপতি। বিজেপি যখন মোদী বিরোধী ফ্রন্ট ভাঙতে মরিয়া, তখন দিল্লিতে এই সাক্ষাত্ ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফেরার কথা মমতার।