সুতপা সেন: 'ডবল ইঞ্জিন তো দিল্লিকেও ডুবিয়ে দিয়েছে, ত্রিপুরাকে কী করে বাঁচাবে'? আগরতলায় নির্বাচনী জনসভায় বিজেপিকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'এখানে সিপিএম কংগ্রেস জোট বেঁধেছে। বাংলায় আমরা বলি,  রাম-বাম-শ্যাম, বিজেপি-সিপিএম আর কংগ্রেস, তিন জনে মিলে আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, আমাদের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়। ত্রিপুরায় একরকম রাজনীতি আর  বাংলায় আর একরকম রাজনীতি'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শিয়রে বিধানসভা ভোট। তৃণমূলের নজরে ত্রিপুরা। আগরতলায় তৃণমূলনেত্রীর রোড-শো কার্যত জনসমুদ্রের আকার নিল। দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে, বাংলায় নয়, ভিনরাজ্যে মিছিলে হাঁটছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কীভাবে? হতবাক স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।


এদিন সকালে আগরতলার শহরের প্রাণকেন্দ্র রবীন্দ্রভবন থেকে রোড-শো শুরু করেন তৃণমূলনেত্রী। শহরের বিভিন্ন জায়গায় পরিক্রমার পর রোড-শো শেষ হয় রবীন্দ্রভবনে। এরপর জনসভায় মমতা বলেন, 'ভোট আসলে ওদের দেখা পাবেন।  আর ভোট না থাকলে তোমার দেখা নেই গো, তোমার দেখা নাই! আর পাত্তা পাবেন না, কারণ তখন ওরা উধাও'।  কাউকে আন্দোলন করতে দেওয়া হয় না। নির্বাচন বলে, এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে, তাই এই মিটিংটা হয়তো করতে পারছি'। 


আরও পড়ুন: Adani Issue: আদানি ইস্যুতে আর উত্তাল হবে না সংসদ! বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় সরকার?


ত্রিপুরার ভোটের প্রচারে 'বাংলায় মডেল' হাতিয়ার করেন মমতা। বলেন, 'যাঁরা উদ্বাস্তু হয়ে এসেছেন, কতজন নিঃশর্ত জমির দলিল পেয়েছেন? পশ্চিমবঙ্গে কম উদ্বাস্তু এসেছে, তাও আমরা সব দিয়ে দিয়েছি।  আমরা প্রত্যেকটা কলোনিকে স্বীকৃতি দিয়েছি। বলেছি, নিঃশর্ত জমির দলিল দেওয়া হবে। কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। আমি হকার ভাইদের জন্য পরিচয়পত্র করেছি। গ্রামের চাষিদের বছরে ১০ হাজার টাকা করে দিই'। বাদ দেননি দুয়ারে সরকার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রীর মতো প্রকল্পের কথাও।



১৬ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায়। ফলাফল ঘোষণা হবে ২ মার্চ। প্রথমদফায় ২২ জনের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। নির্বাচনী ইস্তেহারে বাংলার মতোই ত্রিপুরায়ও মহিলাদের জন্য একাধিক প্রকল্প চালু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এ রাজ্যের শাসকদল। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)