নিজস্ব প্রতিবেদন: আমফানের ক্ষত এখনও শুকোয়নি। এরমধ্যেই আচমকাই ফের তছনছ করে দিয়ে গেল টর্নেডো। এতটাই আচমকা ও প্রবল গতিতে তা আছড়ে পড়ে যে সাধারণ মানুষ সাবধান হওয়ার সময়ই পাননি।
আরও পড়ুন-দিনভর উত্তেজনার অবসান, ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশনের ২ কর্মীকে ছেড়ে দিল পাকিস্তান
সোমবার রাতে একটি শক্তিশালী টর্নেডো আছড়ে পড়ে ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া জেলার ৩ গ্রাম পঞ্চায়েতে। আতঙ্কে ঘরে ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন রঙ্গানি,তালাচুয়া ও বাঘমারির মানুষ। 
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, একটি ফানেলের মতো ঘূর্ণিঝড় কয়েক মুহূর্তে এলাকার সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দিয়ে যায়। 
বাপি নামে  এক তরুণ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমি বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাত্ আকাশ কালো হয়ে হয়ে প্রবল বেগে ঝড় বইতে শুরু করল। দেখলাম বিশা উঁচু মেঘ মাটি থেকে আকাশ ছুঁয়েছে।
আরও পড়ুন-ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির জন্য় সুখবর! পুজোর সময় থেকে শুরু হচ্ছে IRCTC ট্যুর, জেনে নিন নয়া নিয়মকানুন
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী মাত্রা ৫ মিনিটের ওই টর্নেডোতে ১২ জন মারাত্মক জখম হয়েছেন, ২০টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এলাকার অধিকাংশ গাছই আর দাঁড়িয়ে নেই।  বহু বাড়ির চাদ উড়ে গিয়েছে।
টর্নেডোর খবর পেয়েই এলাকায় ছুটে যান কেন্দ্রপাড়ার জেলাশাসক, সামান্ত ভার্মা।  সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত ২০টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। আমরা ত্রাণ দিতে শুরু করেছি। ঝড়ের গতি কত ছিল তা এখনও পর্যন্ত আমারা জানি না।  তবে গতি কমপক্ষে ১০০ কিলোমিটারের বেশি হবে।