বাড়তে পারে রেল ভাড়া, ইঙ্গিত মন্ত্রকের

প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই রেলের ভাড়া বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই ইঙ্গিতের বিরোধিতা করেননি রেলমন্ত্রী পবন কুমার বনশলও। সোমবার নিজের দফতরের দায়িত্বগ্রহণ করেই অধীরবাবু বলেন, "সব জিনিসেরই যখন দাম বাড়ছে তখন রেলের ভাড়া বাড়তেই পারে।" রেল প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, রেলের সুরক্ষা, যাত্রী নিরাপত্তা ও পরিষেবার উন্নয়ন ঘটানোই হবে তাঁর মূল লক্ষ্য। তাঁর বিশ্বাস, রেলের ভাড়া বাড়ানোয় কোনও রাজনৈতিক লোকসান হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যের জন্য যে রেলপ্রকল্পগুলি শুরু হয়েছিল, সেগুলির কাজও যথারীতি এগোবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, রেলের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভিশন টোয়েন্টি টোয়েন্টি নিয়েছিলেন, সেই লক্ষ্য পূরণে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজও এগোবে।

Updated By: Oct 29, 2012, 03:07 PM IST

প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই রেলের ভাড়া বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই ইঙ্গিতের বিরোধিতা করেননি রেলমন্ত্রী পবন কুমার বনশলও। সোমবার নিজের দফতরের দায়িত্বগ্রহণ করেই অধীরবাবু বলেন, "সব জিনিসেরই যখন দাম বাড়ছে তখন রেলের ভাড়া বাড়তেই পারে।" রেল প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, রেলের সুরক্ষা, যাত্রী নিরাপত্তা ও পরিষেবার উন্নয়ন ঘটানোই হবে তাঁর মূল লক্ষ্য। তাঁর বিশ্বাস, রেলের ভাড়া বাড়ানোয় কোনও রাজনৈতিক লোকসান হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যের জন্য যে রেলপ্রকল্পগুলি শুরু হয়েছিল, সেগুলির কাজও যথারীতি এগোবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, রেলের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভিশন টোয়েন্টি টোয়েন্টি নিয়েছিলেন, সেই লক্ষ্য পূরণে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজও এগোবে।
রেলের ভাড়া বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন রেলমন্ত্রী পবন কুমার বনশলও। সোমবার রেলভবনে গিয়ে মন্ত্রকের দায়িত্ব নিলেন কংগ্রেস সাংসদ পবন বনশল। কুর্সিতে বসেই পবন বনশল জানিয়ে দিয়েছেন রেলের পরিকাঠামোগত ও আর্থিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারই হবে তাঁর প্রাথমিক লক্ষ্য। রেলের ভাড়া যে বাড়ছেই, সেকথাও একরকম জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। রেলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি, যাত্রীসুরক্ষা ও পরিষেবার উন্নয়নেই জোর দিচ্ছে টিম বনশল। ধুঁকতে থাকা রেলকে তার পুরোনো গরিমা ফিরিয়ে দেওয়ার এই উদ্যোগে প্রয়োজন বাড়তি অর্থের। সেই লক্ষ্যে রেলের ভাড়া যে বাড়ছেই তা নিয়ে নিশ্চিত অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
 
দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের প্রথমার্ধে রেল ছিল সরকারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে। ২০০৯-এ রেলমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিলেও ভাড়া বাড়াননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১০-এ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন দীনেশ ত্রিবেদী। চলতি বছরের বাজেটে রেলের যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব দিলে দলের অভ্যন্তরেই তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এমনকী ভাড়া বৃদ্ধির জেরে মন্ত্রিত্ব থেকে প্রদত্যাগ করতেও কার্যত বাধ্য করানো হয় তাঁকে। তাঁর জায়গায় রেলমন্ত্রী হন মুকুল রায়। ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকেও সরে আসে সরকার।
অগাস্ট মাসের ১৮ তারিখ খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ সহ একাধিক ইস্যুতে ইউপিএ থেকে তৃণমূল সমর্থন তুলে নেওয়ায় মুকুল রায় রেলমন্ত্রক থেকে ইস্তফা দেন। গতকালই মন্ত্রিসভা রদবদলে রেলের দায়িত্ব পান পবন কুমার বনশল। রেলের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন অধীর চৌধুরী।
 

.