নিজস্ব প্রতিনিধি : কুম্ভমেলার হাজার বছরের ইতিহাসে এই ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। এত বড় যুগান্তকারী ঘটনার সত্যতা নিয়ে তাই শুরুতে অনেকে দ্বন্দ্বে ছিলেন। কিন্তু শেষমেশ জানা গিয়েছে, খবরটা সত্যি। এই প্রথমবার কুম্ভমেলায় থাকবে রূপান্তরকামীদের আখড়া। কুম্ভমেলায় যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে আপনিও একবার ঢুঁ মেরে আসতে পারেন সেই আখড়ায়। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকার সুযোগ থাকবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  'হঠকারি সিদ্ধান্ত', ভার্মার অপসারণে তোপ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি পট্টনায়েকের


এমন ঘটনা সমাজের রূপান্তরকামী শ্রেণীর মনোবল বাড়াবে। এমনটাই দাবি করেছেন আখড়ার প্রধান পুরোহিত। আখড়ার সঙ্গে জড়িত থাকা প্রত্যেকেই অবশ্য বলছেন, শুধুমাত্র লিঙ্গভিত্তিক পরিচয়ে এই আখড়ার বিচার করা উচিত নয়। আখড়ার এক সদস্য লক্ষ্মীনারায়ণ ত্রিপাঠি যেমন বলছিলেন, ''এই সমাজের একজন হয়ে উঠছি আমরা। সমাজের প্রতিটা স্তরে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। এই ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে। আমাদের আখড়ার দরজা সবার জন্য খোলা। মেলা চলাকালীন আপানারা যে কেউ এসে আমাদের সঙ্গে মিলে-মিশে যেতে পারেন।'' 


আরও পড়ুন-  ৩৮-৩৮ আসনে লড়বেন মায়াবতী-অখিলেশ, কংগ্রেসকে ‘গিফট’ অমেঠি-রায়বেরিলি


১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু কুম্ভমেলা। চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত। এবারের মেলার প্রধাণ আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে রূপান্তরকামীদের এই আখড়া। মেলাপ্রাঙ্গনের প্রায় কেন্দ্রস্থলে থাকবে এই কিন্নড় আখড়া। আখড়া চত্ত্বরের সাজানো গোছানো ব্যবস্থাপনা মানুষকে আকর্ষণ করবে বলে দাবি করছেন আখড়ার সদস্যরা। এই আখড়ার সঙ্গে জড়িত একজন বলছিলেন, ''সংস্কৃতি, ধর্ম, শিল্পকলার হাত ধরে আমরা সমাজের মূলস্রোতে আসতে পারি। এগুলোই আমাদের কাছে জরুরি মাধ্যম। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসে বিলিয়ে দেওয়াটাই আমাদের উদ্দেশ্য। আশা করব সমাজও আমাদের একইভাবে আপন করে নেবে।''