মাথা ও পায়ে গুরুতর চোট, ফুসফুসে রক্তক্ষরণ, মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা

উল্লেখ্য, উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গারকে এক বছর আগেই বরখাস্ত করা হয়। গত দু’দিনে এ খবর সেভাবে প্রকাশ্যে আসেনি

Updated By: Jul 30, 2019, 05:28 PM IST
মাথা ও পায়ে গুরুতর চোট, ফুসফুসে রক্তক্ষরণ, মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা
ছবি-টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় ৪০ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এখনও নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। লখনউয়ের কিং জর্জে’স মেডিকেল ইউনিভার্সিটি ট্রমা সেন্টার চিকিত্সা চলছে নির্যাতিতা এবং তাঁর আইনজীবীর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে,  এই মুহূর্তে তাঁকে ইনটেনসিভ কেয়ার রাখা হয়েছে নির্যাতিতাকে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, একাধিক ক্ষত রয়েছে নির্যাতিতার শরীরে। ফুসফুসে অনবরত রক্তক্ষরণ হচ্ছে। মাথায় এবং পায়ে গুরুতর চোট রয়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখতে বাইরে থেকে সার্পোট দেওয়া হয়েছে। রবিবার, উন্নাও থেকে রায়বরেলী যাওয়ার পথে নির্যাতিতার গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় নির্যাতিতারই দুই কাকিমা। এই ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠে বিধায়ক কুলদীপ সিঙ্গারের বিরুদ্ধেই। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, জেলে বসেই খুনের পরিকল্পনা করেন কুলদীপ। সোমবার, কুলদীপ  ও তাঁর ভাই মনোজ-সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে পুলিস।

আরও পড়ুন- বুধবার দেশ জুড়ে চিকিৎসক ধর্মঘটের ডাক ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের

উল্লেখ্য, উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গারকে এক বছর আগেই বরখাস্ত করা হয়। গত দু’দিনে এ খবর সেভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। আজ সাংবাদিক বৈঠকে কুলদীপ বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিজেপির মুখপাত্র রাকেশ ত্রিপাঠি জানান, ২০১৮ সালে এপ্রিলে তাঁকে দল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে, সে সময় প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার দলের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, কুলদীপের বরখাস্তের নির্দেশ আগামী দিনেও জারি থাকবে।

উন্নাও ঘটনায় যোগী সরকারের তুলোধনা শুরু করেছে বিরোধীরা। পূর্ব উত্তর প্রদেশে দায়িতপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা টুইটে লেখেন, বিজেপি আর কিসের জন্য অপেক্ষা করছে? বিধায়কের এফআইআর-এ নাম থাকা সত্ত্বেও বিজেপি কেন তাঁকে বরখাস্ত করছে না। সিবিআই তদন্তের দাবি জানান সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। উন্নাও ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে, বিজেপির কটাক্ষ, দেশে যোগী সরকারের জনপ্রিয়তা রয়েছে। উন্নাও বা সোনভদ্র ঘটনায় রাজনীতি করে সরকার বদনাম করা চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, বিজেপির দাবি, যে ট্রাকটি নির্যাতিতার গাড়িতে ধাক্কা মেরেছিল, ওই ট্রাকের মালিক সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন সেক্রেটারির।

.