‘সন্তানদের স্কুল না পাঠালে টানা পাঁচ দিন থানায় বসিয়ে রাখা হবে অভিভাবকদের'
সংবাদ সংস্থা: যোগী রাজ্যে সব শিশুরা স্কুলে যাবে! এটা বাধ্যতামূলক! না মানলে এর খেসারত দিতে হবে অবিভাবকদের! কী সেই খেসারত? টানা পাঁচদিন থানায় বসিয়ে রাখা হবে! না কোনও খাবার, না কোনও জল- কোনওটাই দেওয়া হবে না তাঁদের! এমন ‘ফরমান’ জারির পথে উত্তরপ্রদেশের অনুন্নত শ্রেণি কল্যাণ এবং প্রতিবন্ধী উন্নয়ন মন্ত্রক। শনিবার উত্তরপ্রদেশের রাসদা এলাকায় এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন ওই মন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ওম প্রকাশ রাজবর।
আরও পড়ুন- বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থেকে তুলে নেওয়া হোক 'হিন্দু', 'মুসলিম' শব্দ, প্রস্তাব ইউজিসি'র
‘দিব্যাংজন’ ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের (শারীরিকভাবে অক্ষম মানুষের উন্নয়ন) মন্ত্রী রাজবর বলেন, “আমার পছন্দের এই আইনটি প্রণয়ন করতে চলেছি। যদি কোনও ওয়ার্ডের শিশুরা স্কুলে না যায়, তাহলে তাদের অবিভাবককে খাবার-জল কিছু না দিয়ে টানা পাঁচ দিন থানায় বসিয়ে রাখা হবে।” তিনি আরও বলেন, “সন্তানদের স্কুলে না পাঠালে তাঁদেরকে পুলিস তুলে নিয়ে যাবে। এতদিন পর্যন্ত তাঁদের নেতা, ভাই, ছেলে বোঝানোর চেষ্টা করেছে, এরপরও আরও ছয় মাস বোঝানোর চেষ্টা করা হবে।” আর তাতেও কাজ না হলে চরম পদক্ষেপের ইঙ্গিত স্পষ্ট মন্ত্রীর গলায়।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রামায়ণের প্রসঙ্গ টেনে আনেন রাজবর। তিনি জানান, রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে প্রথমে রামচন্দ্র সমুদ্রের কাছে আবদেন করেছিলেন যাতে পথ তৈরি করে দেওয়া হয়। কিন্তু, শেষ অবধি তা না হওয়ায়, নিজে হাতেই সেতু নির্মাণ করেন ‘ভগবান রামচন্দ্র’। এই উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলতে চেয়েছেন, যদি এইসব অভিভাবকরা শিশুদের নিজে হতে স্কুলে না পাঠায়, তাহলে তিনিও রামচন্দ্রের মতো নিজে হাতেই সেতু বন্ধনের (পড়ুন, শাস্তি দেওয়ার) গুরুদায়িত্ব তুলে নেবেন। এখানেই না থেমে, যোগীর এই ক্যাবিনেট মন্ত্রী শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড দিতেও প্রস্তুত বলে জানান ।
আরও পড়ুন- রাজধানীতে শব্দবাজি বিক্রি করলেই কড়া শাস্তি, দীপাবলীর আগেই রায় আদালতের
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও প্রকাশ পেতেই বিতর্ক তৈরি হয়। কিন্তু তাঁর বক্তব্যে যে তিনি অটল রবিবার এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি তা জানিয়েছেন। রাজবর বলেন, “আমার মন্তব্যে থেকে সরছি না। স্কুলে পাঠানোর জন্য এমন শাস্তি দিলে ভুল কোথায়? সরকার যেখানে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে, সেখানে সন্তানদের কেনই বা স্কুলে পাঠাবে না অবিভাবকরা।”