নিজস্ব প্রতিবেদন: আরও এক বার কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা হলেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী। ২০১৪ সাল থেকে ওই পদেই ছিলেন রায়বেরেলির সাংসদ। এর আগে সনিয়া গান্ধী ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিরোধী দলনেতার পদ সামলেছেন। আজ সংসদের সেন্ট্রাল হলে কংগ্রেসের ৫২ জন সাংসদ নিয়ে বৈঠক শুরু হয়। জল্পনা ছিল, রাহুল গান্ধী যদি কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার মনস্থির করে ফেলেন, তা হলে তাঁকে সংসদীয় নেতা হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হবে। তবে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সনিয়াকেই ওই পদের জন্য প্রস্তাব রাখেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সর্বসম্মতিতে মনমোহন সিংয়ের প্রস্তাবকেই মান্যতা দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষে সনিয়া কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা হিসাবে নির্বাচিত হলেন। তাঁর নেতৃত্বেই এ বার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে লোকসভার দলনেতা।
উল্লেখ্য, এ বারেও বিরোধী দলনেতা হওয়ার মতো প্রয়োজনীয় আসন পেতে ব্যর্থ বিরোধী দলগুলি। লোকসভা আসনের ১০ শতাংশ অর্থাত্ কমপক্ষে ৫৫টি আসন প্রয়োজন বিরোধী দলনেতা হওয়ার জন্য। সেখানে বিরোধী দলগুলির মধ্যে কংগ্রেসের সর্বোচ্চ ৫২ সাংসদ রয়েছে। ২০১৪ সালেও বিরোধী দলনেতার অস্তিত্ব ছিল না। কংগ্রেসের দখলে ছিল মাত্র ৪৪ সাংসদ। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হিসাবে ছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। এ বারের নির্বাচনে কর্নাটকের গুলবর্গা কেন্দ্র থেকে নজিরবিহীনভাবে হারেন কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতা।
আরও পড়ুন- গত ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ বেকারের সংখ্যা, আর্থিক বৃদ্ধিও ঠেকল ৫ বছরের তলানিতে
গোটা দেশে কংগ্রেসের ভরাডুবি হওয়ায় দলের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। নিজের ঘাড়ে সমস্ত দায় নিয়ে ইস্তফা দেওয়ার মনস্থির করে ফেলেন তিনি। তবে, কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে তাঁর ইস্তফা পত্র ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে কংগ্রেসের সভাপতি পদে থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। সূত্রে খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে রাহুল জানিয়েছেন, যত দিন না সভাপতি পদে কেউ আসছেন, তত দিন তিনি সেই দায়িত্ব সামলে যাবেন। এমনকি রাহুল চাইছেন, গান্ধী পরিবারের বাইরে কেউ ওই পদের দায়িত্ব সমালান। তবে, সনিয়ার সংসদীয় দলনেতা নির্বাচিত হওয়ায়, পরিবারতন্ত্র নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।
ফের কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা নির্বাচিত হলেন সনিয়াই