নিজস্ব প্রতিবেদন: মিশন শক্তি সাফল্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মহাকাশে ভারতের এই সুপার পাওয়ার হয়ে ওঠার ঘটনায় দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করল বলেই জানানো হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


প্রসঙ্গত, বুধবারই জানা গিয়েছে যে ভারত মহাকাশের লড়াইয়ে সুপার পাওয়ার হয়েছে। এতদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিনের কাছেই কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংস করার মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। এবার ওই ক্ষেপণাস্ত্র চলে এল ভারতের হাতে।


বুধবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে এই ঘোষণা করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে মহাকাশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গেল ভারত।


আরও পড়ুন: অরুণাচলকে ভারতের অংশ দেখানোয় ৩০ হাজার মানচিত্র নষ্ট করল চিন


যে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই সাফল্য এসেছে, তাও ভারতে তৈরি। ডিআরডিও এবং ইসরোর বিজ্ঞানীরা এই অ্যান্টি স্যাটেলাইট এ-স্যাট ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছেন। তাই বুধবার দিনভর বিজ্ঞানীদের সাফল্যের প্রশাংসয় পঞ্চমুখ গোটা ভারত।


এবার ভারতের সাফল্যের প্রশংসা এল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে। সেদেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র জানান, বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখেছেন। মহাকাশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভারত ও মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হল। মহাকাশের নিরাপত্তা আগামিদিনে দুই দেশ হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণের শিকার ২ হিন্দু নাবালিকাকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ পাক আদালতের


তবে মহাকাশের আবর্জনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে। ভারতের এই পরীক্ষার জেরে মহাকাশের আবর্জনার বিষয়টিও নজর রাখা হয়েছে বলে মার্কিন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।


উল্লেখ্য, এই ধরনের পরীক্ষার ক্ষেত্রে মহাকাশে ঠিক কতটা আবর্জনা জমছে, সেটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। রাশিয়া, চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যতবার এই ধরনের পরীক্ষা করেছে, ততবারই এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।


আরও পড়ুন: ভারতের চাপে ঝুঁকল ইমরান সরকার, ২ কিশোরীর ধর্মান্তরণের ঘটনায় গ্রেফতার ১ মৌলবি


২০০৭ সালে চিন এই ধরনের একটি পরীক্ষা করেছিল। তখন তারা আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানার জন্য ব্যবহৃত তাদের একটি অকেজো স্যাটেলাইট ধ্বংস করে। সেটাও ছিল তাদের অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল পরীক্ষীর অঙ্গ। সেই সময় চিনকে অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল।


তবে ভারতের তরফে এই পরীক্ষার জন্য মহাকাশে আবর্জনা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে ভারতের বক্তব্য, এটা লো-অরবিটে করা হয়েছে, তাই আবর্জনার আশঙ্কা নেই। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তা পৃথিবীতেই এসে পড়বে।