Uttarkashi Rescue Update: তীরে এসে তরী ডুবল! ব্যাহত টানেলে আটক শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ...
Uttarkashi Rescue Update: বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কয়েক ঘণ্টার মধ্য়েই উত্তরকাশীর ভেঙে পড়া টানেলের অন্ধকূপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন ৪১ জন শ্রমিক। কিন্তু বিধি বাম। আবারও সমস্যার মুখে উদ্ধারকাজ। কাজ এগিয়েছে আর মাত্র ২.৮ মিটার!
বিক্রম দাস, উত্তরকাশী: পদে পদে চ্যালেঞ্জ। উদ্ধার কাজ চলছে জোরকদমে। অপেক্ষা আর কিছুক্ষণের। খুব দ্রুত টানেল আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করা যাবে, জানাল উত্তরাখণ্ড সরকার।
আজ, বৃহস্পতিবার সকালেই জানা গিয়েছিল, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কয়েক ঘণ্টার মধ্য়েই উত্তরকাশীর ভেঙে পড়া টানেলের অন্ধকূপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন ৪১ জন শ্রমিক। কিন্তু বিধি বাম। আবারও সমস্যার মুখে উদ্ধারকারী দল। যে প্ল্যাটফর্মের উপর অগার মেশিনটি রেখে কাজ চলছিল সেটি 'ডি-স্টেবিলাইজড' হয়ে গিয়েছে। ফলে এই কমজোরি হয়ে পড়া প্ল্যাটফর্মটি ঠিক না করা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ ফের পুরোদমে শুরু করা যাবে না। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৪৬.৮ মিটার পর্যন্ত পৌঁছনো গিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আজ একটু রাতের দিকে প্ল্যাটফর্মটি 'স্টেবিলাইজড' হয়ে যাবে। এবং তারপর ফের শুরু করা যাবে উদ্ধারকাজ।
আরও পড়ুন: Justice Fathima Beevi Passes Away: প্রয়াত সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি ফতিমা বিভি...
আজ, বৃহস্পতিবার সকালেই জানা গিয়েছিল, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কয়েক ঘণ্টার মধ্য়েই উত্তরকাশীর ভেঙে পড়া টানেলের অন্ধকূপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন ৪১ জন শ্রমিক। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধারকারী এনডিআরএফ টিম ফের টানেলের ভেতরে ঢুকেছিল। বুধবার রাতে ধসের কারণে উদ্ধারের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। সেই সময়ে আটকে-পড়া শ্রমিকদের থেকে মাত্র ১২ মিটার দূরে ছিল উদ্ধারকারী দল। আর আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ফের শুরু হয়েছে উদ্ধারের কাজ। জোজিলা টানেলের প্রজেক্ট হেড হরপাল সিং সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, সামনে থাকা ধস তারা খুব তাড়াতাড়ি সরিয়ে ফেলবেন। গ্য়াস কাটার দিয়ে রড কেটে রাস্তা করা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সকাল ৮টা নাগাদই উদ্ধারকাজ শেষ হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর ধস নেমে টানেলের মধ্যে আটকে পড়েছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। ওই শ্রমিকদের মধ্যে বাংলার ৩ শ্রমিকও রয়েছেন। ধসের পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল উদ্ধারের কঠিন লড়াই। আনা হয়েছে বিদেশি যন্ত্রপাতি। এসেছেন বিশেষজ্ঞেরা। ইতিমধ্যেই ৪৪ মিটার লম্বা একটি পাইপ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ঢুকিয়ে শ্রমিকদের কাছে পাঠানো হচ্ছে খাবারদাবার ওষুধপত্র। পাশাপাশি, ক্যামেরা লাগিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলাও সম্ভব হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এনডিআরএফের ২১ জনের একটি দল অক্সিজেন সিলিন্ডার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি নিয়ে টানেলে প্রবেশও করেছে।
জেজিলা টানেল প্রজেক্টের প্রধান জানিয়েছেন সামনে খুব কম ধ্বংসস্তূপ থাকলেও সেখানে কিছু স্টিলের রড বেরিয়ে পড়েছে। ফলে সেগুলি কেটে রাস্তা করাই এখন প্রধান কাজ। ৪৪ মিটার পাইপ ঢোকানো হয়েছে। সামনে মাত্র ১২ মিটার বাকি।
এদিকে, আটকে থাকা শ্রমিকদের জন্য ৪১ বেডের একটি হাসপাতাল তৈরি রাখা হয়েছে। টানেলের বাইরে অপেক্ষা করছে অ্য়াম্ব্যুল্য়ান্স ও মেডিক্যাল টিম। টানা ১২ দিন টানেলে আটকে শ্রমিকেরা। ভেতরের তাপমাত্রা ও টানা বন্দিদশায় তাঁদের অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেকথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী এই হাসপাতাল। শ্রমিকদের কাছে পাইপ পৌঁছে গেলে সেই পাইপ ধরেই বেরিয়ে আসবেন শ্রমিকরা। তার আগে এনডিআএফের মেডিক্যাল টিম শ্রমিকদের দেখিয়ে দেবেন কীভাবে বেরিয়ে আসতে হবে। সৌভাগ্যের বিষয় হল, যে জায়গায় শ্রমিকরা আটকে পড়েছেন, সেটি সাড়ে ৮ মিটার উঁচু ও ২ কিলোমিটার লম্বা। ফলে অক্সিজেনের সমস্যা খুব বেশি হচ্ছে না।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)