নিজস্ব প্রতিবেদন: মধ্যপ্রদেশে কমপক্ষে ২০০ জন ডাক্তারি পড়ুয়ার ভর্তির ক্ষেত্রে গোলমাল রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মধ্যপ্রদেশ সরকারের কাছে চিঠি লিখল সিবিআই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মধ্যপ্রদেশ প্রফেশনাল একজামিনেশন বোর্ড বা ব্যাপম কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে ২০০ ডাক্তারি পড়ুয়াকে চিহ্নিত করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, মধ্যপ্রদেশের ৪টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া ওইসব পড়ুয়াje কোনও প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে নয়, বরং বিপুল টাকা ক্যাপিটেশন ফি দিয়েই ডাক্তারিতে ভর্তি হয়েছে।


গত বৃহস্পতিবার ব্যাপম দুর্নীতিতে সিবিআই আদালতে ৫৯২ জনের বিরুদ্ধে চার্জসিট জমা দেওয়া হয়েছে। ওই তালিকায় রয়েছে রাজ্যের ৪টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যানও। ওই ৪টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয় মোট ২২৯ জন। প্রতিটি আসনের জন্য ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা নেওয়া হয় বলে সিবিআইএর অভি‌যোগ। কিন্তু তার থেকেও বড় বিষয় হল, কোনও প্রবেশিকা পরীক্ষা না দিয়েই কেবল টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া হয় ওইসব আসন। মধ্যপ্রদেশে প্রফেশনাল একজামিনেশন বোর্ড বা ব্যাপম কর্তাদের সঙ্গে ‌যোগসাজশে ওই দু'শো পড়ুয়াকে ডাক্তারিতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।


কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, বিশেষ এক পদ্ধতি ব্যবহার করে ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় দুর্বল পড়ুয়াদের উতরে দেওয়া হতো। ওই পদ্ধতির নাম ইঞ্জিন-বগি সিস্টেম। একজন ভালো পড়ুয়াকে দিয়ে দেওয়া হতো প্রি মেডিক্যাল এন্ট্রান্সের পরীক্ষায় বসা কোনও দুর্বল পড়ুয়ার রোল নম্বর। ওই রোল নম্বর নিয়ে পরীক্ষা দিয়ে সেই পড়ুয়াকে উতরে দিত কোনও ভালো ছাত্র। এরকম একটা ব্যবস্থা করার জন্য নেওয়া হতো ১০-১৫ লাখ টাকা। এই বিশাল জালিয়াতির মৌচাকেই ঢিল মেরেছে সিবিআই।


আরও পড়ুন-   সবং উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী মানস-জায়া