রাহুলকে মন্ত্রকে চেয়েও পেলেন না মনমোহন
একের পর এক দুর্নীতি, শরিকদের গোঁসা, সংস্কারের `সাইডএফেক্ট`, আর বিতর্কের অসুখে কাবু মন্ত্রিসভাকে অক্সিজেন দিতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। আর তাঁর প্রায় আইসিইউতে চলে যাওয়া মন্ত্রিসভার ভাবমূর্তিকে বাঁচাতে আসল অক্সিজেনটা ছিলেন রাহুল গান্ধী। মনমোহন সিং নিজে দারুণভাবে চেয়েছিলেন যাতে রাজীব পুত্র মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। কারণ মনমোহন সিং মনে করেন এতে একদিকে যেমন সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হত, তেমনই সরকারের বেশ কিছু নতুন চিন্তাভাবনা আমদানি করতেন রাহুল।
একের পর এক দুর্নীতি, শরিকদের গোঁসা, সংস্কারের `সাইডএফেক্ট`, আর বিতর্কের অসুখে কাবু মন্ত্রিসভাকে অক্সিজেন দিতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। আর তাঁর প্রায় আইসিইউতে চলে যাওয়া মন্ত্রিসভার ভাবমূর্তিকে বাঁচাতে আসল অক্সিজেনটা ছিলেন রাহুল গান্ধী। মনমোহন সিং নিজে দারুণভাবে চেয়েছিলেন যাতে রাজীব পুত্র মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। কারণ মনমোহন সিং মনে করেন এতে একদিকে যেমন সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হত, তেমনই সরকারের বেশ কিছু নতুন চিন্তাভাবনা আমদানি করতেন রাহুল।
কিন্তু সব কিছু অনুরোধ অগ্রাহ্য করে দলের কাজকেই অগ্রাধিকার দিলেন রাহুল গান্ধী। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে, দলের কাজে আরও বেশি দায়িত্ব চাপছে রাহুলের কাঁধে। তাই এবারও মন্ত্রিসভায় আসার অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়েছেন। এ কথা নিজে মুখে জানান মনমোহন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, `রাহুল এবারও মন্ত্রিসভায় যোগদান করতে চায়নি, এটা আমার কাছে হতাশার বিষয়। কিন্তু ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে দলের ওঁর ভূমিকা নির্ধারিত রয়েছে।` রাহুলকে খুব শিগগিরই কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি ঘোষণা করা হতে পারে।
প্রশ্ন উঠছে রাহুল এমন সিদ্ধান্ত কেন নিলেন? কংগ্রেস সূত্রের খবর আসলে রাহুল মনে করছেন সরকারের হারিয়ে যাওয়া ভাবমূর্তি ফেরাতে গেলে পার্টি সংগঠন মজবুত করতে হবে। তিনি মনে করেন এফডিআই থেকে সংস্কার নিয়ে দেশবাসীকে ঠিকভাবে বোঝানো গেলে কংগ্রেসের প্রতি আস্থা বাড়বে। তাই মন্ত্রী হয়ে নয় রাহুল দলের হাল ফেরাতে চান সংগঠনের মাথার উপরে থেকেই।