অধিকাংশ রোগই ভালো হয় আয়ুর্বেদে; এর গরিমা ফেরাতে পারিনি আমরা, সংসদে জোর সওয়াল সুভাষ চন্দ্রের
সুভাষ চন্দ্র আরও বলেন , সংসদে বহু বক্তা দেশের একাধিক আয়ুর্বেদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কথা বলেছেন যা ১৫০ বছরের পুরনো। ওইসব প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত ভালো কাজ করছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতে এক সময়ে চিকিত্সা ব্যবস্থা অনেকটাই নির্ভর ছিল আয়ুর্বেদের ওপরে। এমনকি করোনা মোকাবিলায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আয়ুর্বেদের হয়েই সওয়াল করেছিল কেন্দ্র। ভারতের এই প্রাচীন চিকিত্সা পদ্ধতি নিয়ে এবার সংসদে সওয়াল করলেন রাজ্যসভার সাংসদ ও এসেল গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. সুভাষ চন্দ্র।
আরও পড়ুন-মহালয়ায় বাগবাজার ঘাটে ‘শহিদ’ স্মরণে বিজেপি নেতাদের তর্পণ, মঞ্চ খুলল পুলিস
বুধবার রাজ্যসভায় পাস হল The Institute of Teaching and Research in Ayurveda Bill, 2020। এনিয়ে সংসদে সুভাষ চন্দ্র বলেন, এমন খুব কম রোগ রয়েছে যার চিকিত্সা আয়ুর্বেদে নেই। যাঁরা বলেন, অয়ুর্বেদে খুব কম রোগেরই চিকিত্সা হয় তাঁরা ঠিক বলেন না। স্বাধীনতার আগে খোদ মহাত্মা গান্ধী এই আয়ুর্বেদের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আয়ুর্বেদই আমাদের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রথম সোপান হওয়া উচিত।
সুভাষ চন্দ্র আরও বলেন , সংসদে বহু বক্তা দেশের একাধিক আয়ুর্বেদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কথা বলেছেন যা ১৫০ বছরের পুরনো। ওইসব প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত ভালো কাজ করছে। কিন্তু আয়ুর্বেদের আধুনিকিকরণের জন্য এখনও তেমন কিছু করা হয়নি। বিদেশি শাসনের সময়ে আমাদের দেশে আয়ুর্বেদ শেষ হয়ে যেতে বসেছিল।
আরও পড়ুন-বারাকপুরে তৃণমূল কর্মীর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা
পূর্ববর্তি সরকারকে নিশানা করে সুভাষ চন্দ্র বলেন, স্বাধীনতার পর আমরা আয়ুর্বেদকে তার পুরনো গরিমা ফিরিয়ে দিতে পারিনি, এটা আমাদের লজ্জার। জার্মানি ও সুইত্জারল্যান্ডের মতো দেশ আয়ুর্বেদের উন্নতিতে অনেক কিছুই করেছে। একমাত্র ২০১৪ সালে কেন্দ্র সরকার দেশে পৃথক আয়ূষ মন্ত্রক তৈরি করেছে। সরকারের এই উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানাতে হয়।