লালুর উত্থান, লালুর পতন
লালুপ্রসাদ যাদব। এই নামটা ভারতীয় রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত এটা নিয়ে তাঁর বিরোধীরাও অস্বীকার করেন না। দেশের রাজনীতির দুর্নীতির কথা এলেই তাঁর ছবি ব্যবহার করা হয়। আবার রেলমন্ত্রী হিসাবে তিনি দারুণ নাম করেছেন। সাধারণ মানুষের কাছে বোরিং রাজনীতিকে তিনি ইন্টারেস্টিং বানিয়েছেন। কখনও শায়েরি, কখনও মজার কথা বলে পার্লামেন্ট গুরুগম্ভীর আলোচনায় প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তিনি হয়তো আর রাজনীতিতে থাকতেন পারবেন না।
লালুপ্রসাদ যাদব। এই নামটা ভারতীয় রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত এটা নিয়ে তাঁর বিরোধীরাও অস্বীকার করেন না। দেশের রাজনীতির দুর্নীতির কথা এলেই তাঁর ছবি ব্যবহার করা হয়। আবার রেলমন্ত্রী হিসাবে তিনি দারুণ নাম করেছেন। সাধারণ মানুষের কাছে বোরিং রাজনীতিকে তিনি ইন্টারেস্টিং বানিয়েছেন। কখনও শায়েরি, কখনও মজার কথা বলে পার্লামেন্ট গুরুগম্ভীর আলোচনায় প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তিনি হয়তো আর রাজনীতিতে থাকতেন পারবেন না।
সেই লালুর উত্থান পতন নিয়েই এই প্রতিবেদন। (দেখুন ফোটো গ্যালারি এখানে ক্লিক করে)
পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হয়ে ২২ বছরে রাজনৈতিক জীবন শুরু। আইন নিয়ে বিএ পাশ, পলিটিক্যাল সায়েন্সে এমএ।
মাত্র ২৯ বছর বয়েসে লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হন। লালুর গুরু ছিলেন বিহারের তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী সতেন্দ্র নারায়ান সিন্হা।
১৯৮৯ ভাগলপুর দাঙ্গার পর থেকে বিহারে লালুর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে।
১৯৯০ সালে প্রথমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন
১৯৯৬ সালে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির কথা সামনে আসা। ৯৫০ কোটি টাকার গড়মিল ধরা পড়ে।
১৯৯৭ সালের ৫ জুলাই জনতা দল থেকে বেরিয়ে নিজের রাজনৈতিক দল তৈরি করেন। দলের নাম দেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)।
১৯৯৭ সালে যখন বিহারের মসনদ ছাড়েন, তখন সেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেন নিজের স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে। রাবড়ি দেবীর কোনও রকম রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, প্রশাসনিক দক্ষতা না থাকা সত্ত্বেও তাঁকে এতবড় পদ দেওয়ায় দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় লালুকে।
১৯৯৭ সালে ওই একই কেলেঙ্কারি মামলায় ১৩৪ দিনের জন্য জেল হয় লালুর। তবে জেলে না থেকে লালু কাটান বিহারের মিলিটারি পুলিসের গেস্টহাউসে।
২০০০ সালে ফের জেলে যেতে হয় লালুকে। তবে তাতে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারে বিশেষ ক্ষতি হয়নি। বিহারের রাজনীতি থেকে তখন কেন্দ্রে আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন তিনি।
২০০৪ সালে দেশের রেলমন্ত্রী হলেন। রেলমন্ত্রী হওয়ার পর দরাজহস্তে প্রকল্প ঘোষণা করলেন। বেশ জনপ্রিয়ও হলেন।
২০০৫ সাল থেকে লালুর পতন শুরু। লালুর চিরশত্রু নীতিশ কুমার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হলেন। পশুখাদ্য ছাড়াও আরও বেশ কিছু কেলেঙ্কারিতে লালুর নাম জড়িয়ে গেল।
২০০৯ লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি, ২০১০ বিহার বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ল লালুপ্রসাদের দল আরজেডি। মাত্র ৪জন সাংসদ আছে আরজেডি।
২০১৩ সাল-- পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে সিবিআইয়ের আদালতে দোযী সাব্যস্ত। ৩ থেকে ৭ বছরের জেল হতে পারে। সাংসদ পদ বাতিল হওয়ার মুখে।