কেন মোদীতে না আডবানীর?
মোদীতে না আডবানীর। কিন্তু, কেন? একদা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নরেন্দ্র মোদীকে কেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে মানতে চাইছেন না বিজেপি-র লৌহপুরুষ? নরেন্দ্র মোদী যদি রাজনীতিতে অর্জুন হন, তবে দ্রোনাচার্য নিঃসন্দেহে লালকৃষ্ণ আডবানী। আডবানীর রথযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল নরেন্দ্র মোদীর। আডবানীর আশীর্বাদের হাত পড়ে মোদীর মাথায়। বিজেপিতে শুরু হয় মোদীর উত্থান। আডবাণী-ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই বাজপেয়ীর আপত্তি সত্ত্বেও গোধরাকাণ্ডের পর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদ খোয়াতে হয়নি হয়নি নরেন্দ্র মোদীকে।
মোদীতে না আডবানীর। কিন্তু, কেন? একদা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নরেন্দ্র মোদীকে কেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে মানতে চাইছেন না বিজেপি-র লৌহপুরুষ? নরেন্দ্র মোদী যদি রাজনীতিতে অর্জুন হন, তবে দ্রোনাচার্য নিঃসন্দেহে লালকৃষ্ণ আডবানী। আডবানীর রথযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল নরেন্দ্র মোদীর। আডবানীর আশীর্বাদের হাত পড়ে মোদীর মাথায়। বিজেপিতে শুরু হয় মোদীর উত্থান। আডবাণী-ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই বাজপেয়ীর আপত্তি সত্ত্বেও গোধরাকাণ্ডের পর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদ খোয়াতে হয়নি হয়নি নরেন্দ্র মোদীকে।
কিন্তু, ছবিটা বদলে যায়, জাতীয় রাজনীতিতে মোদী বিজেপির মুখ হয়ে ওঠার চেষ্টা শুরু হতেই। মোদীর এক সময়ের মেন্টর আডবানীই হয়ে ওঠেন তাঁর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে ওঠার পথে মূল কাঁটা। গোয়ায় বিজেপি জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে মোদীকে প্রচার কমিটির প্রধান হিসাবে ঘোষণা করতেই বেঁকে বসেন লালকৃষ্ণ আডবানী। দলের সব গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। পরে রাজনাথ সিংয়ের মধ্যস্থতায় পদত্যাগপত্র ফেরালেও, অসন্তোষ চেপে রাখেননি। কিন্তু, কেন আডবানীর এই চরম মোদী বিরোধিতা?
নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করলে জোটসঙ্গী পেতে অসুবিধা হবে। আডবাণীর এই আশঙ্কা সত্যি প্রমাণ করে ইতিমধ্যেই এনডিএ ছেড়েছে জেডিইউ। বাজপেয়ীর মত ধর্ম নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি নেই মোদীর। দলের সবকটি গোষ্ঠীকে নিয়ে কাজ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। মেরুকরণের রাজনীতির ফায়দা তুলতে পারবে কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আডবাণীর মোদী-বিরোধিতার সবচেয়ে বড় কারণ তাঁর রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খা।
১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে বাজপেয়ীর ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির কাছে হারতে হয়েছিল আডবাণীকে। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন অটলবিহারি বাজপেয়ি। আডবানীর এখন যা বয়স, তাতে এবার না হলে তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্বের বাসনা যে আর পূরণ হওয়া সম্ভব নয়, তা ভালই বুঝছেন প্রবীন এই নেতা। সেই জন্যই মোদী বিরোধিতায় সুর চড়াচ্ছেন বিজেপি-র লৌহপুরুষ। অন্যদিকে, আডবানীকে চটিয়ে মোদীকে জিতিয়ে আনা যে কঠিন হবে তা বিলক্ষণ বুঝছে বিজেপি শীর্ষনেতৃত্ব। সেই কারণেই চলছে আডবানীকে বোঝানোর পালা। শনিবারও প্রবীণ নেতার বাড়ি গিয়ে তাঁর মানভঞ্জনের চেষ্টা করেন সুষমা স্বরাজ, বলবীর পুঞ্জরা।
তবে বিজেপিতে প্রবীণ-নবীনের লড়াই কতটা মিটবে, তার উত্তর দেবে সময়।