বিশ্বের ধনকুবেরদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে গৌতম আদানি, হারালেন বিশ্বখ্যাত সংস্থা লুই ভিউটোঁ প্রধানকেও
এবার বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এলেন ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স এমনটাই বলছে। বর্তমানে আদানির থেকেও ধনী, এমন ব্যক্তি বিশ্বে মাত্র ২ জন। একজন হলেন আমাজন কর্তা জেফ বেজোস। অপরজন টেসলার মালিক ইলন মাস্ক।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি হিসেবে তাঁর নাম জ্বলজ্বল করছে। অথচ এই কয়েক বছর আগে ভারতের বাইরে খুব কম লোকই জানতেন গৌতম আদানির নাম (Gautam Adani)। এবার বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এলেন ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স এমনটাই বলছে। বর্তমানে আদানির থেকেও ধনী, এমন ব্যক্তি বিশ্বে মাত্র ২ জন। একজন হলেন আমাজন কর্তা জেফ বেজোস। অপরজন টেসলার মালিক ইলন মাস্ক। গৌতম আদানির সম্পদ ১৩৭.৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে । ৬০ বছরের এই ধনকুবের তার কয়লা থেকে বন্দর ব্যবসাকে বাড়িয়েই চলেছেন। এখানেই শেষ নয়, ডেটা সেন্টার থেকে সিমেন্ট, মিডিয়া ও অ্যালুমিনাম পর্যন্ত সবেতেই ব্যবসায়িক পারদর্শিতা দেখিয়েছেন আাদনি। এখন ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি-ক্ষেত্রের বন্দর, বিমানবন্দর অপারেটর, সিটি-গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটর ও কয়লা খনির মালিক আাদানি গোষ্ঠী।
আরও পড়ুন, NCRB Report 2021: দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহর কলকাতা, অপরাধের ঘটনার শীর্ষে রাজধানী
বর্তমানে আদানি গোষ্ঠী এখন ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি বন্দর, বিমানবন্দর পরিচালক, সিটি-গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটর এবং কয়লা খনির মালিক। অস্ট্রেলিয়ায় এই গোষ্ঠীর কারমাইকেল খনির বিরুদ্ধে পরিবেশবাদীরা সরব। কিন্তু, তার পরও আদানিরা নভেম্বরে বিশ্বের বৃহত্তম পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি উৎপাদনে জোর দিতে চায় বলে জানিয়েছে। গ্রিন পাওয়ারে ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আদানির সম্পদ ২০২২ সালে ৬০.৯ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। যা অন্য কারও থেকে পাঁচগুণ বেশি। প্রাথমিকভাবে, তিনি মুকেশ অম্বানিকে পিছনে ফেলে ফেব্রুয়ারিতে এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হন। এপ্রিল মাসে আরবপতি ও জুলাই মাসে বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি হিসেবে মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের বিল গেটসকে ছাড়িয়ে যান।
এক সময়ে এক সাধারণ পরিবারের সন্তানের মতোই পথ চলা শুরু করেছিলেন আদানি। আর সেখান থেকেই ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছেন এই বিশাল সাম্রাজ্য। তবে নিজের শিকড়ের প্রতি টান এখনও ভুলে যাননি তিনি। সময় পেলেই তাই চলে যান আদানি ফাউন্ডেশনের স্কুলে। অথবা সময় কাটান সংস্থার কোনও সাধারণ কর্মীর বাড়িতে।তবে আদানি গোষ্ঠীর মাথায় এখন বিপুল অঙ্কের দেনাও রয়েছে। আর্থিক পরামর্শদাতা সংস্থা ক্রেডিটসাইটস সম্প্রতি জানায়, আদানি গ্রুপ অনেকটাই 'ওভারলেভারেজড'। এর ফলে তারা এখন থেকে খুব সাবধানী না হলে ঋণের ফাঁদে পড়তে পারে। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ব্যবসা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে আদানি গোষ্ঠী। বাংলাদেশে আদানি গোষ্ঠী বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে শ্রীলঙ্কাতেও বায়ুশক্তি উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করেছিল আদানি গোষ্ঠী।
আরও পড়ুন, Custodial Deaths: লকআপে বন্দি মৃত্যুর সংখ্যায় এগিয়ে মোদীর গুজরাট