অবশেষে এফডিআই-এ সিলমোহর দেবে কেন্দ্র?
থমকে থাকা আর্থিক সংস্কারে গতি আনতে অবশেষে নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র। খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল মনমোহন সিং সরকার। বিশেষ সূত্রের খবর সংসদের বাদল অধিবেশনের পরই সরকার এই সিদ্ধান্ত নথিভুক্ত করবে। তবে কোনও রাজ্যের সম্মতি ছাড়া সেই রাজ্যে এই নীতি কার্যকর করা হবে না বলে সূত্রের খবর।
থমকে থাকা আর্থিক সংস্কারে গতি আনতে অবশেষে নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র। খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল মনমোহন সিং সরকার। বিশেষ সূত্রের খবর সংসদের বাদল অধিবেশনের পরই সরকার এই সিদ্ধান্ত নথিভুক্ত করবে। তবে কোনও রাজ্যের সম্মতি ছাড়া সেই রাজ্যে এই নীতি কার্যকর করা হবে না বলে সূত্রের খবর।
শরিকি কাঁটায় আটকে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগে ছাড়ের সিদ্ধান্ত। অবশেষে সেই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে এল মনমোহন সিং সরকার। ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ এই নীতিকে ঘিরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিয়েছে বলে খবর। এর আগে মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতায় মাল্টি ব্র্যান্ডে একান্ন শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের নীতি নির্ধারণে ক্ষেত্রে এগোতে পারেনি সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনড় অবস্থানের কারণে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়েছিলেন মনমোহন সিং। আর্থিক সংস্কারের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তের নেওয়ার ব্যাপারে মনমোহন সরকারের দুর্বলতা নিয়ে সরব হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট সহ বিশ্বের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানও।
ফলে আন্তর্জাতিক মহলে মনমোহন সিং সরকারের মাথা অনেকটাই হেঁট হয়ে যায়। এদিকে সেই সময় ভারতের আর্থিক বিকাশের হারও ছয় শতাংশের নীচে নেমে আসে। প্রণব মুখোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব নেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। জানিয়ে দেন দেশের অর্থনীতির মোড় ঘোরাতে অবিলম্বে সংস্কার জরুরি।
এক্ষেত্রে তাঁর প্রথম কাজ ছিল খুচরো ব্যবসার দরজা বিদেশি বিনিয়োগের জন্য খুলে দেওয়া। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, শেষপর্যন্ত সেই লক্ষ্যে সফল হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কেবিনেট এবিষয়ে চূড়ান্ত শিলমোহর ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে।
সাতই সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সিদ্ধান্তের নথিভুক্তকরণের পথে হাঁটবে সরকার।
জুন মাসে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী এফডিআই ইস্যুতে মতামত জানতে চেয়ে রাজ্যগুলির কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। নিজেদের রাজ্যে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছে রাজস্থান, দিল্লি, উত্তরাখণ্ড, মনিপুর এমনকী বিজেপি শাসিত হিমাচল প্রদেশও।
রাজ্যসরকার চাইলেই সেই রাজ্যের খুচরো ব্যাবসা বিদেশি সংস্থা একান্ন শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবে। এই নমনীয়তা এনেই এফডিআই কাটানোর পথে কেন্দ্র। ফলে একদিকে যেমন শরিকি আপত্তি থাকা সত্ত্বেও মূলনীতি কার্যকর করার ক্ষেত্র কোনও অসুবিধা থাকল না। তেমনি থমকে থাকা আর্থিক সংস্কার প্রক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্ত অক্সিজেন সরবরাহ করবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।