1/6
ভাঙা বাড়ির ছায়ায়
2/6
অপরাজেয় কথাশিল্পী
এই হল বিখ্যাত দেবানন্দপুর। 'বিখ্যাত' কারণ, জায়গাটির সঙ্গে অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্রের স্মৃতি জড়িয়ে। দেবানন্দপুরই কথাশিল্পীর জন্মস্থান। বলতে গেলে শরৎচন্দ্রের গ্রামের পুজো এই দত্ত-মুন্সিদের পুজো। গ্রামের পুরনো মানুষজন বলেন, তাঁরা তাঁদের পূর্বপুরুষের কাছে শুনেছেন, এই পুজো দেখতে নাকি আসতেন স্বয়ং শরৎচন্দ্র!
photos
TRENDING NOW
3/6
কনৌজ থেকে বঙ্গ
এহেন দেবানন্দপুরে একটা সময়ে জমিদারি ছিল দত্ত মুন্সিদের। ১৫৮১ সালে কনৌজ থেকে এদেশে এসে জমিদারি পত্তন করেন দত্ত মুন্সিদের পঞ্চদশ পুরুষ কামদেব দত্ত। কামদেবই এখানে দুর্গাপুজোর সূচনা করেন। মূলত কাঠের ব্যবসায় প্রতিপত্তি বেড়েছিল দত্ত মুন্সিদের। সেসময় সপ্তগ্রাম বন্দরে সরস্বতী নদী দিয়ে বাণিজ্য হত। সেই সরস্বতী নদীর পূর্বপ্রান্তে দেবানন্দপুর এক বর্ধিষ্ণু গ্রাম হিসেবেই তখন পরিগণিত হত।
4/6
গ্রামের একমাত্র পুজো
5/6
পাঁচশো বছরের দিকে
6/6
একচালা
একচালার পাঁচ পোয়া মাপের দুর্গা প্রতিমার আজও কোনো পরিবর্তন হয়নি। নবমীতে চালকুমড়ো বলি দেওয়ার প্রথা আছে। দশমীতে দত্ত মুন্সি পরিবারের মহিলারা ঠাকুর বরণ করে সিঁদুর খেলেন। তারপর বিসর্জন। আগে জমিদার গিন্নিরা বজরা করে স্নান করতে যেতেন ত্রিবেণীতে। তাঁদের জন্য তৈরি করা ছিল জেলে ঘাট। সরস্বতী নদীর সেই জেলে ঘাটেই প্রতিমা বিসর্জন হয়। বিসর্জনে যাওয়ার আগে শোভাযাত্রা গ্রামের বিশালক্ষ্মী মন্দির ও কালীমন্দিরে থামে।
photos