Abhishek Banerjee: হেমতাবাদে আসবাব কারিগরের বাড়িতে চায়ে তৃপ্তির চুমুক, কাকে তৃণমূলের লক্ষ্মী বলে খোঁচা অভিষেকের?

Mon, 01 May 2023-8:49 pm,

জনসংযোগ যাত্রায় নেমে আমজনতার সঙ্গে মিশে যাওয়ার কোনও সুযোগই ছাড়ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও সেলফি তুলতে আসা বালককে জড়িতে ধরছেন,কখনও কারও পোর্টালের ভিউ বাড়ানোর জন্য নিজের কথা বলছেন। কোথাও আবার কোতাও বিনা নোটিসে ঢুকে পড়ছেন সাধারণ মানুষের ঘরে। তাদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন ঘরের ছেলের মতো। কোথাও আবার গাড়ির মাথায় উঠে জনসমুদ্রের উদ্দেশ্যে হাত নাড়ছেন। -তথ্য-প্রবীর চক্রবর্তী

তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়ে আজ উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের তেঁতুলতলায় ঢুকে পড়লেন আসবাব কারিগর কালু বর্মনের বাড়িতে। সেখানে মন্দিরে প্রমাণ সেরে চা খেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মাটির ভাঁড়ে থালায় সাজানো চা, অন্য থালায় ঝুরিভাজা, নিমকি-সহ শুকনো খাবার। সাজিয়ে দেওয়া হল অভিষেকের সামনে। তৃপ্তি করে চায়ে চুমুক দিলেন অভিষেক। কথা বললেন বাড়ির ছোটো ছেলে থেকে শুরু করে পরিবারের সবার সঙ্গে। বাড়ির এক বৃদ্ধা অভিষেককে ভাত খেয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তাঁর হাত ধরে অভিযেক তাঁকে কথা দেন, 'অন্য কোনও একদিন এসে খেয়ে যাবেন। আজ রায়গঞ্জে মিটিং রয়েছে। সেখান থেকে ইটাহার। সেখান থেকে মালদহ। মোট ৬০ দিন রাস্তায় থাকব। পরে একদিন আসব। রাস্তা জেনে গেলাম।  শরীরের যত্ন নেবেন। ভালো থাকবেন।' অভিষেকের ব্যবহারে মুগ্ধ বর্মন পরিবার। -তথ্য-প্রবীর চক্রবর্তী

কয়েক দিন আগেই ময়নাগুড়ির দোমহানিতে স্বপন রাহুত ও রাজু রাহুতের বাড়িতে দুপুরের খাবার খান অভিষেক। স্বপন রাহুত ও রাজু রাহুতের একান্নবর্তী পরিবার। অভিষেক বাড়িতে খাবেন শুনেই টেনশন নিয়ে হেঁশেল সামলেছেন জয়া রাহুত ও রুমা রাহুত। গরমের কথা মাথায় রেখে তাঁরা অভিষেকের মেন্যুতে রেখেছিলেন হালকা রান্না। কী ছিল অভিষেকের মেনুতে? আজ অভিষেকের পাতে ছিল কলা পাতায় ভাত, ডাল, সবজি, পটল পোস্ত। আর উত্তরবঙ্গে আসবেন আর অভিষেকের পাতে বোরোলি মাছ থাকবে না তা হয় না। অভিষেকের পাতে দেওয়া হল বোরোলি মাছের ঝোল, আড়মাছ, টক দই ও মিষ্টি। গত বছর ১২ জুলাই ধুপগুড়িতে জনসভায় যোগ দেবার আগে আগাম কোন কর্মসূচি ছাড়াই দোমহানি পুরোন বাজারে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘুরে দেখেন দোমহানি বাজার। সেই বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ওই হাটের সংস্কারের দাবি পেয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে জেলাপরিষদের সভাধিপতিকে হাটের সংস্কারের নির্দেশ দেন। প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বর্তমানে ঝাঁ চকচকে দোমহনি হাট। সেদিন হাজারো ভিড়ে অভিষেককে এক ঝলক চোখের দেখা দেখেছিলেন স্থানীয় রাহুত পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তারা একথা স্বপ্নেও ভাবেননি যে মাস কয়েক পরেই তাদের বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজ সারবেন অভিষেক। -তথ্য-প্রবীর চক্রবর্তী

গত ২৫ এপ্রিল, মঙ্গলবার কোচবিহার থেকে কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন। জলপাইগুড়ি হয়ে এখন উত্তর দিনাজপুরে অভিষেক। মঞ্চে নয়, এদিন ইটাহারে গাড়ির মাথায় উঠে পড়েন তিনি! চারপাশে তখন কার্যত জনসমুদ্র। অভিষেক বলেন, 'মানুষকে আমরা আগামীদিনে প্রার্থী বাছার জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি। আমি আপনাদের একটা নম্বর দিয়ে যাচ্ছি। নম্বরটা লিখে নিন। আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে সন্ধে ৬ পর্যন্ত, এবং প্রতিদিন সকাল ৯ থেকে সন্ধে ৬ অবধি,  আপনারা মতামত দিয়ে জানান, কোন পঞ্চায়েত আপানার কাকে প্রার্থী দেখতে চান'। 'এই যে বাংলার মানুষের প্রতি ধারাবাহিক বঞ্চনা। আগামিদিন যদি দিল্লির বুকে আন্দোলন সংগঠিত করি, আপনারা যাবেন তো? নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমার, রাখা দায়িত্ব আমার। কিন্তু বাংলার মানুষের গায়ে জোর, আর মানসিকতা দিল্লির নেতাদের একবার দেখাতে হবে'। -তথ্য-প্রবীর চক্রবর্তী

অন্যদিকে, রায়গঞ্জের সভায় অভিষেক এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র খোঁচা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুকে নিশানা করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন,'ও তো তৃণমূলের লক্ষ্মী। বিজেপিতে এমনিতেই শনির দশ চলছিল। ও ঢোকাতে রাহু ও কেতু এই দুই দশও সম্মীলিত হয়েছে।' অভিষেকের ওই মন্তব্য শুনে উল্লাসে ফেটে পড়ে জনতা। -তথ্য-প্রবীর চক্রবর্তী

 

পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের ভাবমূর্তি চাঙ্গা করতে গত ২৫ এপ্রিল দিনহাটা থেকে জন সংযোগ কর্মসুচিশুরু করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সেই কর্মসূচির সপ্তম দিনেও অভিষেক চাইছেন মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার কেনাও সুযোগ যেন না হাতছাড়া হয়। মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছেন। যতটা সম্ভব তার সমাধান করছেন। কখনও এগিয়ে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন, কখনও সেলফি তুলেছেন। অভিষেককে দেখে মানুষ উত্সাহ চোখে পড়ার মতো। রায়গঞ্জ থেতে ইটাহার, দেখা মিলল সেই দৃশ্যেরই। -তথ্য-প্রবীর চক্রবর্তী  

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link